শিরোনাম:
ফ্রি বা কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের পড়াশোনার সুযোগ কম খরচে ভিয়েতনাম ভ্রমণ: ভিয়েতনাম টুরিস্ট ভিসার খরচসহ বিস্তারিত তথ্য কানাডায় গেলে ফিরে আসতে না চাওয়ার রহস্য: কানাডার সকল অজানা তথ্য ও সুযোগ-সুবিধা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের লিস্ট সহ ঘরে বসে বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার উপায় ফ্রিতে কিংবা কম খরচে এবার মিলবে এমবিবিএস জার্মানি স্কলারশিপ ঢাকা থেকে রিয়াদ বিমান ভাড়া | টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কিত বিস্তারিত সব তথ্য একসাথে  বিদেশে ডাক্তারি পড়ার খরচ কত: কোন দেশে কম খরচে ডাক্তারি পড়া যায় বিদেশে মেডিকেল স্টুডেন্টদের জন্য কোন স্কলারশিপ ভালো এবং কিভাবে আবেদন করবেন অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ভিসা: বেতন মাসে ৩ থেকে ৭ লাখ টাকা  ফুল ফান্ড স্কলারশিপ: বিদেশে পড়াশোনার করুন একেবারে ফ্রিতে

ডলার সংকটের নেপথ্যে প্রবাসীর আয় কমে যাওয়া

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২২
বাংলাদেশের রিজার্ভ

বর্তমানে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে কমে গেছে। যার কারণে চাপে পড়ে গেছে বাংলাদেশের রিজার্ভ। 

অন্য দিকে দেশের ব্যাংকগুলোকে সামলাতে হচ্ছে ডলার সংকট। এর কারণে ব্যংক কতৃপক্ষগুলো এলসি খুলতে পারছে না। ফলস্বরূপ পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে হাত দিতে হয়েছে রিজার্ভে। ব্যাপকহারে  ডলার ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেই। যার কারণে বর্তমান সময়ে এসে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪.১৩ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে। 

বিশ্লেষকরা বলছে গত ২ সপ্তাহে দেশে রেমিট্যান্স কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। এই রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার ব্যাপারটি মারাত্মকভাবে দেশে ডলার সংকট সৃষ্টি করেছে। এই তথ্য পাওয়া যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে। 

আর যদি দেশে আসা রেমিটেন্সের কথা বলি তাহলে বলবো এবারে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এনেছে বেসরকারি ব্যাংক হিসাবে খ্যাত ইসলামী ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংকের পরপরই এই লিস্টে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক এবং সব শেষে সোনালী ব্যাংক। 

এবার আসি সদ্য বিদায়ী অক্টোবর মাসের রেমিট্যান্সের পরিমাণের ব্যপারে। গত অক্টোবর মাসে প্রবাসীরা তাদের কষ্টের অর্থ হিসাবে প্রায় ১৫২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। দেশের অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা বলছে এই অকাটোবর মাসের আয় বিগত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পরিমাণের উপার্জিত অর্থ। এই তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের একটি হালনাগাদ প্রতিবেদন। 

এখন হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেন প্রবাসিদের আয় এইভাবে কমে যাওয়ার আসল রহস্য কি! রহসটি কিন্তু খুবই সাধারণ। ব্যাংকারদের মতে  মূল ব্যপারটি হলো প্রবাসী আয়ে যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তা হুন্ডির চেয়ে যথেষ্ট পরিমাণে কম। ফলে যেসব প্রবাসী তাদের আয়ের অংশটুকু দেশে পাঠাতে চাচ্ছে তাদের কাছ থেকে প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ডলার কেনার পরও সেই ডলার হুন্ডিতে চলে যাচ্ছে। 

 

আসল কথা হলো বর্তমানে দেশ থেকে অর্থ পাচারের চাহিদা থাকায় হুন্ডিতে দাম এখনো বেশ চড়া। ব্যাংকারদের মতে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও অনেকেই দেশের বাইরে সম্পদ সরিয়ে নিচ্ছেন। এরই মাঝে আবার  যুক্ত হয়েছে বারবার ডলারের দাম উঠা-নামার পরিস্থিতি। 

 

এমতাবস্থায় আপনি কি ভাবছেন?  সরকারিভাবে ঠিক কোন কোন পদক্ষেপগুলি গ্রহন করলে সমস্যাটির সমাধান মিলবে বলে আপনি মনে করেন?  কমেন্টবক্সে জানাতে ভূলবেননা কিন্তু। রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আজকের মতো ইতি টানছি। 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ