সংশ্লিষ্টজনদের মতে নানা উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণে আগ্রহ বাড়ানো যাচ্ছে না কোনোভাবেই। তারই রেশ ধরে তাদের উপার্জিত অর্থের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দেশে প্রেরণ করা হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে।
সরকার যখন রেমিট্যান্স বাড়াতে একের পর এক বিশেষ সুবিধা দিচ্ছি, ঠিক তখনই নির্বিঘ্নে ‘হুন্ডির পেটে’ যাচ্ছে রেমিট্যান্স। রিসার্চ বলছে মূলত ডলারের দর বেঁধে দেওয়ার কারণেই হুন্ডিতে লেনদেনে উৎসাহিত হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রবাসীরা।
এদিকে ধরপাকড়ের পর এজেন্ট ব্যবসার আড়ালে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা করার অপরাধে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে বেশকিছু অপরাধী।
পুলিশ বলছে মাঝারি এই চক্রটি বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায়সহ বিভিন্ন মোবাইল মাধ্যমে গত একবছরে কমপক্ষে ৭৫ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ পাচার করেছে। যা ইউএস ডলারে কনভার্ট করলে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের (৭৮০ কোটি) মতো।
জানা গেছে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট। মূলত ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই চক্রটিকে।
বর্তমানে চক্রটির ব্যবহারে প্রায় ৫ হাজারের বেশি এজেন্টের সন্ধান মিলেছে। বিদেশে অবস্থানরত ওয়েজ আর্নারদের কষ্টার্জিত অর্থ বাংলাদেশে না এনে স্থানীয় মুদ্রায় মূল্য পরিশোধ করে মানিলন্ডারিংয়ের এই অপরাধটুকুকে আইনগত দৃষ্টিতে মোটেও পজেটিভলি নিচ্ছে না কতৃপক্ষ।
বলে রাখা ভালো এই অপরাধে গ্রেফতারকৃত ১৬ জনের মধ্যে ছয়জন বিকাশ এজেন্ট, তিনজন বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার, তিনজন বিকাশের ডিএসএস, দুজন হুন্ডি এজেন্ট, একজন হুন্ডি এজেন্টের সহযোগী এবং একজন হুন্ডি পরিচালনাকারী হিসেবে কাজ করে আসছিলো।
বর্তমানে অর্থনৈতিক গবেষণা অনুযায়ী রেমিটেন্স হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণপ্রবাহ। আর সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে তা মোকাবেলার জন্য সরকার অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে হুন্ডি সব সময় রিজার্ভের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করে আসছে। মূলত সেকারণেই দেশের অর্থনীতির এ ঝুঁকি মোকাবেলায় হুন্ডি কার্যক্রমের বিষয়ে নজরদারি শুরু করে সিআইডি এবং সে অনুযায়ী কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কতৃপক্ষ।