ভারতের আইআইটি বা Indian Institutes of Technology! যার নাম শুনলেই ভেসে উঠে দেশের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের সিনারিও। যেখানকার শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনায় রীতিমতে অবাক বনে যায় সারা বিশ্ব। বিশ্বমানের ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী এবং উদ্যোক্তা তৈরিতে এই ভারতের IIT এর জুড়ি মেলা ভার। আপনিও চাইলে এখান থেকে ভালোকিছু করতে পারবেন। ট্রাই করতে পারবেন এখানকার স্কলারশিপ! কিন্তু কিভাবে? বিস্তারিত জানতে ভারতের আইআইটি বা Indian Institutes of Technology সম্পর্কে আমাদের আজকের এই লেখাটি পুরোপুরি পড়তে হবে।
আইআইটি (IIT) কী?
আইআইটি হলো Indian Institutes of Technology এর সংক্ষিপ্ত রূপ৷ যা ভারতের জনপ্রিয় ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিদের নিয়ে তৈরি করা একটি নেটওয়ার্ক। বলে রাখা ভালো ভারতের প্রথম এই আইআইটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালে, কলকাতায়।
রিসার্চ বলছে বর্তমানে, ভারত জুড়ে মোট ২৩টি আইআইটি রয়েছে। যা দেশটির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তি সেক্টরে সিংহভাগ অবদান রেখে চলেছে৷ এখানে যারা পড়াশোনা করে তারা পরবর্তীতে এই উচ্চমানের শিক্ষা পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে বড় বড় প্রজেক্টগুলিতে ফোকাস করে, ক্যারিয়ারে ভালো করে, নিজ নিজ দেশে অবদান রাখে।
ভারতের আইআইটির ইতিহাস
এবার আসি একটু ইতিহাসের দিকে। আইআইটির ইতিহাস যথেষ্ট গর্ব করার মতো। ভারতের এই প্রথম আইআইটি ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতায়। তারপর ধীরে ধীরে অন্য শহরগুলিতেও প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে এর শাখা! বর্তমানে, ভারতের মোট ২৩টি আইআইটি রয়েছে। দেশের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং শিল্পখাতে প্রতিষ্ঠানটি দিনের পর দিন অবদান রেখে যাচ্ছে।
আর এখানকার শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানি এবং গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইজিলি চাকরি পাচ্ছে। যেমন গুগল, মাইক্রোসফট, আইবিএম, ফেসবুক, টেসলা, ইত্যাদি কোম্পানিতে এখানকার শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করছে।
আইআইটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া
আপনি যদি গুগল, মাইক্রোসফট, আইবিএম, ফেসবুক, টেসলা ইত্যাদি কোম্পানিতে জব করার মতো ভালো সার্টিফিকেটের সংকটে পড়েন তবে বলবো সময় থাকতেই আইআইটি প্রতিষ্ঠানে ফোকাস করতে। এখানকার ভর্তি প্রক্রিয়াটা কেমন হবে তা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আপনাদের বলে রাখি:
আইআইটি-তে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা
আইআইটির প্রোগ্রাম বা কোর্সসমূহ
এবার আসি আইআইটির প্রোগ্রাম বা কোর্সসমূহের ব্যাপারে। আইআইটি-তে ব্যাসিক্যালি বিভিন্ন প্রোগ্রাম অফার করা হয়। যার মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, বিজ্ঞান সবচেয়ে বেশি ফোকাসড থাকে। প্রতিষ্ঠানটিতে আপনি প্রোগ্রাম হিসাবে পাবেন B.Tech বা Bachelor of Technology, M.Tech বা Master of Technology এবং PhD।
আইআইটি র্যাঙ্কিং কেমন?
আইআইটির বিশ্বব্যাপী বেশ কয়েকটি র্যাঙ্কিংয়ে একেবারে প্রথমদিকে অবস্থান করছে। এক্ষেত্রে QS World University Rankings, Times Higher Education এবং NIRF বা National Institutional Ranking Framework নামের প্রতিষ্ঠানগুলির ব্যাপারে না বললেই নয়।
বাংলাদেশ থেকে আইআইটি-তে ভর্তি হওয়ার উপায় এবং খরচ
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আইআইটি-তে ভর্তি হতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অন্য সবার মতো JEE Main এবং JEE Advanced পরীক্ষা দিতে হবে। প্রসেসগুলি ঠিক এমন হবে:
এবার আসি বাংলাদেশ থেকে আইআইটি-তে ভর্তি হতে কত টাকা লাগবে সে ব্যাপারে৷ এক্ষেত্রে JEE Main এবং JEE Advanced পরীক্ষার জন্য ফি হিসাবে লাগবে ১০০০-২৫০০ ভারতীয় রুপির মতো। টিউশন ফি হিসাবে বছরে লাগতে পারে আনুমানিক ৫০,০০০ – ২,৫০,০০০ টাকার মতো।
ভারতে থাকতে হলে থাকা-খাওয়ার খরচ হিসাবে আপনাকে গুনতে হবে ২০,০০০ – ৬৫,০০০ টাকা! সবশেষে বই-পুস্তক, সেমিনার, কনফারেন্স এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ হিসাবে পকেটে বাড়তি ২,৫০,০০০ – ৩,৫০,০০০ টাকা রাখতে পারলে বছর চলে যাবে। মোটকথা এখানে পড়তে হলে খরচ হিসাবে ৪,৫০,০০০ – ৭,০০,০০০ টাকার ব্যবস্থা করলে হবে।
আইআইটির ক্যাম্পাস জীবন কেমন?
এক কথায় অসাধারণ! প্রতিটি ক্যাম্পাসে থাকছে আধুনিক সুবিধা, গবেষণাগার, লাইব্রেরি, স্পোর্টস ফ্যাসিলিটি, এবং সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কার্যক্রমের সুবিধা। তাই নিজের স্কিলস ডেভলপ করতে পারবেন সহজেই। তাছাড়া ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ তো থাকছেই।