ইউরোপের প্রতিটি দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান ভিন্ন। তবে কাজের চাহিদা বলতে গেলে একই। একক বাজার অর্থনীতি হওয়া সত্ত্বেও আবারও এখানকার বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন চাকরির বেতন ধার্য করা হয় বিভিন্নভাবে। ইউরোপে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজে কত বেতন সে-সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
ইতালি, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের প্রবাসীরা কাজ করছেন। এই দেশগুলোর মধ্যে বেতনের ক্ষেত্রে তারতম্য থাকলেও এখানে কাজ করে তুলনামূলকভাবে ভালো আনন্দ পাওয়া যায়। ইউরোপে যেসব কাজের চাহিদা বেশি সেসব কাজ হলো:
এবার আসি ইউরোপের কোন দেশে কাজের চাহিদা বেশি সে ব্যাপারে! ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আপনি মূলত ২ ক্যাটাগরির দেশ পাবেন। এক ক্যাটাগরির দেশে আপনি পাবেন কম বেতনের চাকরি! অন্য ক্যাটাগরির দেশে পাবেন বাড়তি বেতনের চাকরি।
চলুন তবে আপনাদের সুবিধার্থে আলোচনা করা যাক বেশকিছু ইউরোপীয়ান সম্পর্কে! যেখানে কাজের চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে। সেই সাথে চলুন জেনে নিই সেসব দেশে বেতন হিসাবে কি পরিমাণ অর্থ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে:
একজন প্রবাসী হিসাবে ইউরোপে কাজ করতে করতে যদি কখনো মনে হয় আপনি সেখানকার নাগরিকত্ব পেতে চান সেক্ষেত্রে সহজেই আবেদনের মাধ্যমে এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। চলুন তবে এক নজরে জেনে নিই ইউরোপের কোন দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ সে ব্যাপারে:
পর্তুগাল: ইউরোপের কোন দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ এই প্রশ্নের প্রধান এবং সহজ উত্তর হলো পর্তুগাল। পর্তুগালে বৈধভাবে ৫ বছরের বেশি পর্তুগিজ ভাষার A2 পর্যায়ের সার্টিফিকেট দেখাতে পারলেই আপনি নাগরিকত্বের জন্যে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার অন্যতম সহজ উপায় হলো একজন পর্তুগিজ নাগরিককে বিয়ে করে ৩ বছর পর্তুগালে বসবাস করা।
ইউরোপের পর্তুগালে গেলে এবং দেশটির নাগরিকত্ব পেলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। বিশেষ করে যেসব সুবিধার কথা একেবারে না বললেই নয় সেসব সুবিধার কথা হলো:
যাইহোক যারা পর্তুগালসহ ইউরোপের যেকোনো দেশের নাগরিকত্ব পেতে চান তারা ভিজিট করুন ustica.gov.pt এবং www.irn.mj.pt এই ২ টি ওয়েবসাইটে। আশা করি অন্যান্য সকল তথ্য এবং আবেদন কিভাবে করতে হবে সে-সম্পর্কে জেনে যাবেন।
অবস্থান, ভিসা ক্যাটাগরি এবং ভিসার মেয়াদের উপর নির্ভর করে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তবে ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আনুমানিক ৳৫,০০,০০০-৳,৭,০০,০০০ লাগবে রাশিয়া, ইউক্রেন, মলদোভা, বেলারুশ, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, তুরস্ক, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, ক্রতার গুয়ানা, ক্রতারকের রিপাবলিক, ক্রোয়েশিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, রোমানিয়ায় যেতে।
অন্যদিকে আইসল্যান্ড, অ্যান্ডোরা, আলবেনিয়া, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ইস্টোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, ইতালি, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালটা, মন্টিনিগ্রো, হল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, সান মারিনোতে যেতে লাগবে ৳১২,০০,০০০-৳২০,০০,০০০ টাকার মতো!
মনে রাখবেন ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ভালো কোনো এজেন্সির শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ আজকাল স্ক্যামের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গেছে। অনেক মানুষই নিজের কষ্টের জমানোর টাকা হারিয়ে ফেলছে এই স্ক্যামের শিকার হয়ে। সুতরাং সাবধান! সব জেনে বুঝে এবং খোঁজখবর নিয়ে তবেই সামনে আগানোর চেষ্টা করুন!