স্কলারশিপ! যেনো এক সোনার হরিণের নাম! ভালো স্কিল এবং ভাগ্য না থাকলে এি সোনার হরিণ কখনোই পাওয়া যায় না। তবে আপনি কি জানেন একটু টেকনিক খাটিয়ে আবেদন করতে পারলে কাজটা আরো সহজ হয়ে যায়?
সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন
হ্যাঁ! এক্ষেত্রে স্কলারশিপের এপ্লিকেশন লেটার বা আবেদন পত্র অনেক বড় ভুমিকা পালন করে। চলুন তবে আজকের এই লেখার মাধ্যমে জানি স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়মগুলি কি কি।
ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে একাডেমিকভাবে সাহায্য পাওয়ার জন্য বাইরের প্রতিষ্ঠান নিজের দেশের প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে লেখা আবেদন পত্রকেই স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র হিসাবে ধরে নেওয়া হয়ে থাকে।
যেখানে থাকবে আপনি কেন আবেদন করছেন, কেন আপনি বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য, আপনার মাঝে এই স্কলারশিপ পাওয়ার কি কি যোগ্যতা আছে ইত্যাদি।
এবারে সরাসরি মূল আলোচনায় আসা যাক। জানা যাক স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়মগুলি কি কি।
♦ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ
♦বিনামূল্যে নিউজিল্যান্ডে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
♦যুক্তরাজ্যে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
♦ইউরোপে বিনামূল্যে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
♦আমেরিকায় ফুল ফ্রি স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
♦কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কিত সম্পূর্ণ গাইডলাইন
♦উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের সেরা ১০ স্কলারশিপ
♦বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা
শুরুতে আপনি যে প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন করছেন সেই প্রতিষ্ঠানের উপর রিসার্চ করুন। এতে করে স্কলারশিপ প্রার্থীর জন্য তারা কি কি যোগ্যতা খুঁজছে তা জানতে এবং বুঝতে সুবিধা হবে।
স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়মে শুরুতেই আপনাকে নিজের কন্টাক্ট ইনফরমেশন দিতে হবে। যাতে করে প্রতিষ্ঠান আপনাকে সহজেই খুঁজে বের করতে পারবে।
তাছাড়া এই সেকশনটি শুরুতে রাখার কারণ হলো আপনাকে খুঁজে পেতে বা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে তাদের যেনো বেগ পেতে না হয়। এই সেকশনে রাখবেন:
এই সেকশনে এসে নিজেকে পরিচিত করুন। মনে রাখবেন স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়মে এই সেকশনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সেকশনের উপরই আপনি স্কলারশিপটি পাবেন নাকি পাবেন না তা নির্ভর করবে।
বৃত্তি পর্যালোচনা কমিটির সাথে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে নিজেকে নিয়ে একটি প্যারাগ্রাফ লিখুন। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনার বোঝাপড়া, নিজের আর্থিক সমস্যাসহ অল্প কথায় নিজের একাডেমিক কন্ডিশন এখানে তুলে ধরুন।
স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়মে ভালোভাবে নিজের ঢোল পেটানোর দরকার আছে। সুতরাং ৪ নাম্বার সেকশনে আপনার প্রধান প্রধান অর্জন আলোচনা করুন।
আপনার প্রধান কৃতিত্ব এবং আপনি পৌঁছেছেন এমন বড় একাডেমিক বা ব্যক্তিগত মাইলফলক নিয়ে লিখুন। জানিয়ে দিন ব্যক্তিগত গুণাবলী বা দক্ষতা সম্পর্কে। হাইলাইট করুন নিজের উল্লেখযোগ্য একাডেমিক কৃতিত্ব। ক্যারিয়ার নিয়ে নিজের চিন্তাভাবনাও তুলে ধরুন এই সেকশনে।
আপনার কৃতিত্বগুলি পর্যালোচনা করতে গিয়ে স্কলারশিপ কমিটি যদি দেখে আপনার কোনো বিশেষ স্কিল নেই তাহলে তারা আপনার উপর খুব একটা ভরসা করতে পারবে না।
সুতরাং নিজের স্কিলের একটি তালিকা এই অংশে তুলে ধরুন৷ পড়াশোনার বাইরে আপনার আর কি কি স্কিল আছে তা লিষ্ট করে দিন।
স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়মের এই শেষ সেকশনে এসে পড়াশোনার প্রতি নিজের আগ্রহ নিয়ে লিখতে পারেন। এতে করে ভর্তি কমিটি বুঝবে সবকিছু থাকার পাশাপাশি আপনার প্রচুর আগ্রহও আছে।
তাই তারাও আপনার মতো এমন আগ্রহী ব্যাক্তিকে হাতছাড়া করতে চাইবে না। সুতরাং এই সেকশনে নিজের পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ারের প্রতি আপনার আবেগকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন। জানিয়ে দিন আপনার ভবিষ্যৎ প্ল্যান।
সবশেষে স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়মের শেষ অংশ হিসাবে স্কলারশিপ পর্যালোচনা কমিটিকে তাদের সময় এবং বিবেচনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আপনার স্কলারশিপের আবেদনটির ইতি টানুন।
স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম জানার পরও যারা বুঝতে পারছেন না তারা নিচের টেমপ্লেটটি ফলো করতে পারেন। এভাবে কভার লেটার লিখতে পারলে আশা করি স্কলারশিপের সুযোগ আপনি পাবেনই পাবেন।
[সম্পূর্ণ নাম]
[ফোন নম্বর] | [একাডেমিক ইমেল ঠিকানা] | [ঠিকানা]
[প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের নাম]
প্রিয় [বৃত্তি পর্যালোচনা কমিটি],
[নিজের পরিচয় দিয়ে শুরু করুন। জানান আপনি বর্তমানে একটি ডিগ্রী অর্জন করছেন। বা আপনি একজন একটি প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যেই পড়ছেন।]
[প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে আপনি কি জানেন তা লিখুন। আপনার একাডেমিক লাইফে এই স্কলারশিপের গুরুত্ব লিখুন। স্কলারশিপটি পেলে আপনি ক্যারিয়ারে কি কি করতে পারবেন সেটি লিখুন।]
[দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে, আপনার উল্লেখযোগ্য একাডেমিক বা ব্যক্তিগত কৃতিত্ব তুলে ধরুন। এবং এসব পয়েন্ট কীভাবে একজন ছাত্র হিসেবে আপনার সাফল্যে বা একজন ব্যক্তি হিসাবে আপনার ডেভলপমেন্টে অবদান রেখেছে তা নিয়ে আলোচনা করুন।] [আপনার কাছে থাকা অনন্য দক্ষতা এবং গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করুন। ]
[আপনার আগ্রহ এবং আপনার সাফল্যের জন্য কি কি দরকার তা লিখুন। ফিউচার ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে আপনার আবেগ এবং আগ্রহ প্রকাশ করে শেষ করুন। কমিটিকে তাদের সময় এবং বিবেচনার জন্য ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে তাদের প্রশ্ন থাকলে আপনার সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানান।] [আপনার পছন্দের কন্টাক্ট ইনফো দিন]
শুভেচ্ছা,
[সম্পূর্ণ নাম]
[স্বাক্ষর]
ব্যাস! এভাবেই স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম ফলো করে লিখে ফেলুন স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র। এভাবে লিখলে আশা করি যেকোনো প্রতিষ্ঠানই আপনার এপ্লিকেশন সাদরে গ্রহণ করবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।