জার্মান ভিসা! যা জার্মানে কমপক্ষে ৩ মাস থাকার একমাত্র অবলম্বন। ৩ থেকে ৬ মাস থাকার এই সময়ের ধরণ অনুযায়ী আপনাকে জার্মান ভিসা কালেক্ট করতে হবে। যার সাহায্যে বিজনেস, পড়াশোনা বা জব যেকোনো এক্টিভিটিস করা যাবে দেশটিতে। চলুন তবে এক নজরে দেখে আসি জার্মান ভিসা আবেদন করার নিয়মগুলি কি কি।
মূলত জার্মান ভিসার ধরণ নির্ভর করে আপনার জার্মান ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর। আপনি জার্মানিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, পড়াশোনা করছেন বা কাজ করছেন বা কি সেখানে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন…সেই অনুযায়ীই মূলত আপনাকে আলাদা জার্মান সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। জার্মান ভিসার ধরণগুলি হলো:
যারা বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে বা শুধুমাত্র দর্শনীয় স্থান দেখতে কিংবা এই দেশ এবং এর সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা জানতে জার্মানি যেতে চান তাদের জন্য এই ভিসাটি৷
অন্যান্য দেশের তুলনায় ঠিক এই পয়েন্টে এসে জার্মানের ভিসার ধরণ আলাদা। আপনি প্র্যাকটিক্যালি দেশটিতে নিজের পছন্দমতো চাকরি খুঁজতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি এই জার্মান জব সিকার ভিসার আন্ডারে জার্মানের অলিগলি রিসার্চ করে পছন্দের জবটি খুঁজে নিতে পারবেন।
যেসব শিক্ষার্থী জার্মানির একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে জার্মানে থাকতে চান তারা এই জার্মান স্টাডি ভিসা বেছে নিতে পারেন। এছাড়াও যারা জার্মান ভাষা শেখার জন্য জার্মানে যেতে চান তারাও এই ভিসার আন্ডারে জার্মানে বসবাস করার সুযোগ পাবেন।
যারা জার্মানিতে চাকরি পেয়েছেন তাদের জন্য এই জার্মান ওয়ার্কিং ভিসা।
বিভিন্ন অসুস্থতা এবং চিকিৎসা বিষয়ক কারণে অনেকসময় আপনাকে জার্মান ভ্রমণের প্রয়োজন পড়তে পারে। আর এক্ষেত্রে ভিসার ধরণ হিসেবে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে এই জার্মান মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ভিসা।
জার্মান ভিসা পেতে কি কি লাগবে তা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরণের ভিসায় জার্মান যেতে চান তার উপর। তবে বেশকিছু কম ডকুমেন্টস রয়েছে যা প্রায় প্রতিটি জার্মান ভিসাতেই লাগতে পারে। আসুন তবে সেসমস্ত ডকুমেন্টস সম্পর্কে জানি:
এপ্লিকেশন ফর্ম: শুরুতে লাগবে সঠিক এবং প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরসহ যথাযথভাবে সম্পূর্ণ করা হয়েছে এমন এপ্লিকেশন ফর্ম। বলে রাখা ভালো মূলত এই ধরণের জার্মানি ভিসা আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে নিতে হয়।
পাসপোর্ট: থাকতে হবে জার্মান দূতাবাসের পাসপোর্টের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সঠিক মেয়াদি পাসপোর্ট। আর এই মেয়াদের পরিমাণ থাকতে হবে কমপক্ষে ৩ মাস।
ছবি: এই ছবি অবশ্যই গত তিন মাসের মধ্যে তোলা হতে হবে। সেই সাথে ছবিটি হতে হবে জার্মান দূতাবাস দ্বারা সেট করা অন্যান্য ছবির মান অনুযায়ী তোলা প্রফেশনাল ছবি।
আর্থিক অবস্থার প্রুফ: আপনার পরিকল্পিত থাকার সময়ে আপনি সঠিক পরিমাণ অর্থ নিজের জন্যে খরচ করতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত করতে জার্মান ভিসা কতৃপক্ষ আপনার আর্থিক অবস্থার প্রুফ চাইবে। এক্ষেত্রে প্রদান করতে হবে আপনার সাম্প্রতিক ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট।
উপরোক্ত ডকুমেন্টস রেডি করার পাশাপাশি আপনাকে সঠিক উপায়ে জার্মান ভিসার জন্যে আবেদন করতে হবে। কিভাবে? জানতে হলে নিচের পয়েন্টগুলিতে ফোকাস করুন:
মূলত জার্মান ভিসা হাতে পেতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১৫ কার্যদিবস। আশা করি এর মাঝে জার্মান ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন। তবে মাথায় রাখবেন, আবেদনের সংখ্যার উপর নির্ভর করে বা কিছু ক্ষেত্রে, আবেদনকারীর নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এই সময়ের ক্ষেত্রে তারতম্য ঘটতে পারে৷