বাজেট কিংবা বিশ্বস্ততার খাতিরে আমাদের অনেক সময় পুরাতন কম্পিউটার কেনার প্রয়োজন পড়তে পারে। দুঃখের বিষয় হলো অনেক সময় এসব সেকেন্ড হ্যান্ড কম্পিউটার কিনে মাথায় হাত দিতে হয়।
তবে যদি ভালোভাবে চেক করে, সবকিছু ঠিক আছে কিনা শিউর হয়ে ইউজড কম্পিউটার বাছাই করেন, তবে আর এই ধরণের সমস্যায় পড়তে হবে না । চলুন তবে আজ পুরাতন কম্পিউটার কেনার আগে যে বিষয় গুলো জেনে নিবেন সে বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।
কম্পিউটারের বাইরে অংশে কোনো ধরণের ড্যামেজ আছে কিনা শুরুতে তা ভালোভাবে চেক করুন। বিশেষ করে স্ক্রিনে কোনো ধরণের সমস্যা চোখে পড়ছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়াটা জরুরি। কিবোর্ডটিও চেক করে নেবেন।
কারণ যারা কিবোর্ডসহ কিনবেন তাদের সেই কিবোর্ডের সব বাটন ওকে কিনা তা চেক করে নেওয়াটা জরুরি। পাশাপাশি পুরো কম্পিউটারটির কোথাও কোনো ফাটা আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিতে পারলে সহজেই কম্পিউটারে কোনো সমস্যা আছে কিনা বোঝা যাবে।
পুরাতন কম্পিউটার কেনার আগে অবশ্যই তার হার্ড ড্রাইভ চেক করুন। বিশেষ করে হার্ড ড্রাইভে এলার্ম ঘড়ির মতো ঠক ঠক সাউন্ড না করলে সেই কম্পিউটার কেনা উচিত নয়।
আর যদি কোনোকিছু পিষে যাওয়ার মতো সাউন্ড শুনতে পান সেক্ষেত্রে ধরে নেবেন যে কম্পিউটারটি কিনতে চাচ্ছেন সেটির দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম।
ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন কাজকর্মের জন্য আজকাল ফ্রি সফটওয়্যারের প্রয়োজন প্রায় দেখার মতো।
সুতরাং পুরাতন কম্পিউটার কেনার সময় যার কাছ থেকে কিনছেন তার কাছ থেকে জেনে নিবেন কম্পিউটারে কোনো পেইড সফটওয়্যার আছে কিনা। যদি থাকে সেটির অ্যাক্সেস আপনি পাবেন কিনা!
যেকোনো ডেস্কটপের জন্য কুলিং ফ্যানের কার্যকারিতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যার কারণে কম্পিউটার কেনার সময় নিচের অংশটির একপাশে গিয়ে কুলিং ফ্যানের আওয়াজ সবসময় চেক করে নিতে হয়। তবে এই আওয়াজ শুনতে অবশ্যই কম্পিউটারটি একবার চালু করে নিতে হবে।
কিনতে চাওয়া পুরোনো কম্পিউটারটির উইন্ডোজ যদি ১০ হয় বা এর উপরে হয় সেক্ষেত্রে তা ব্যবহার করলে কোনো সমস্যা নেই। তবে যদি ১০ এর নিচে হয় তাহলে তা অবশ্যই আপডেট করার প্রয়োজন আছে।
যে কম্পিউটারটি কিনতে চাচ্ছেন সেটি যেহেতু পুরোনো সেহেতু সবকিছু ঠিক আছে কিনা তা চেক করতে অন্তত ২০ মিনিটের মতো কম্পিউটারটি ব্যবহার করে দেখুন।
এতে করে কম্পিউটার কত দ্রুত গরম হচ্ছে, কম্পিউটারের তাপমাত্রা সবসময় ঠিক থাকে না…এসমস্ত বিষয় জানা যাবে।
RAM হলো যেকোনো কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ মেমোরি। যা যত কম হবে ততবেশি ভুগতে হবে। সুতরাং ঝামেলা থেকে বাঁচতে অন্তত ৭/৮ জিবির উপরে RAM থাকা পুরাতন কম্পিউটারগুলি কিনুন। তবে কখনোই ৪ জিবির নিচে RAM রয়েছে এমন কম্পিউটার কেনা যাবে না।
কম্পিউটারের ড্রাইভ নিয়ে আরো ভালোভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। হার্ড ড্রাইভটি কবে কেনা হয়েছে, কোনো সমস্যা দেখা দিয়েছে কিনা এসমস্ত তথ্য না জেনে কম্পিউটার কিনলে দ্রুত তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার চান্স থাকে। তবে হার্ড ড্রাইভের দাম খুব একটা বেশি নয়।
ইউজার আপনার কিনতে চাওয়া কম্পিউটারটি কতদিন ধরে ব্যবহার করছে তা না জেনে কম্পিউটার কিনতে যাবেন না। অনেক বেশি বয়স হয়ে দামের দিকটা মাথায় রাখবেন। যদি কিনতে চাওয়ার কম্পিউটারের বয়স কোনো কারণে ৫ বছরের বেশি হয় সেক্ষেত্রে সেই কম্পিউটারটি কেনা থেকে বিরত থাকুন।
সেকেন্ড হ্যান্ড কম্পিউটার কেনার সময় বাজেট নিয়ে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। কারণ এই ধরণের কম্পিউটারের দাম খুব একটা বেশি থাকে না। তবে যার কাছ থেকে কিনবেন ভাবছেন সে হয়তো বেশি দাম চেয়ে বসে থাকতে পারে।
মনে রাখবেন যেকোনো পুরাতন কম্পিউটারের দাম মডেল অনুযায়ী নতুন কম্পিউটারের দামের চাইতে অন্তত ২০% কম হবে। সুতরাং ক্যালকুলেট করে তবেই দাম নির্ধারণ করার চেষ্টা করবেন।