শরীরের কোনো বিশেষ স্থানের রং সাদা হয়ে যাওয়াকে আমরা সাধারণত শ্বেতী রোগ বলে থাকি। এই রোগ সৃষ্টির মূল কারণ হলো ত্বকের রং উৎপাদনকারী কোষের জটিলতা। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির উপায়সহ সম্পর্কিত তথ্য।
দেহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ মেলানোসাইড রোগাক্রান্ত হলে সাধারণত এই রোগ দেখা দেয়। মেলানোসাইড হলো আমাদের দেহের রং উৎপাদনকারী কোষ।
এই কোষ রোগাক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি সংখ্যায় কমে গেলেও শ্বেতী রোগ দেখা দুতে পারে। এই রোগের লক্ষ্মণ হলো দেহের নির্দিষ্ট অংশ সাদা হয়ে যাওয়া। আপনি জেনে অবাক হবেন, পৃথিবীর প্রায় ১০ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত।
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো এই রোগ পুরোপুরি নাও সারতে পারে। এছাড়কও দেহের যেসব অংশে অনেক বেশি লোম থাকে সেসব অংশে এই রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে।
সাধারণত ফটোথেরাপি বা লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ নির্মুল করা হয়। এছাড়াও এই রোগ সারাতে বিভিন্ন মলম এবং ওষুধ ব্যবহার করা হয়। চলুন শ্বেতী রোগ সারানোর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস সম্পর্কে জেনে নিই:
মনে রাখবেন কারও ত্বকে যদি সাদা দাগ দেখা দেয় তাহলে তা নিশ্চিতভাবে শ্বেতী রোগ হিসেবে গণ্য হবেনা। তাই চলুন ভূল চিকিৎসার হাত থেকে বাঁচার জন্য জেনে নিই শ্বেতী রোগের প্রাথমিক লক্ষ্যসমূহ কি কি:
অনেকেই মনে করেন শ্বেতী রোগ কখনোই সারবে না। যা পুরোপুরিই ভুল ধারণা। সেগ্মেমেন্টাল শ্বেতী রোগ সাধারণত ১ বা ২ বছর স্থায়িত্ব লাভ করে।
যদিও এই রোগ খুব অল্প বয়স থেকে শুরু হয়, তাছাড়া এই রোগের ধরণ, স্থায়িত্ব এবং তীব্রতার ওপর নির্ভর করে রোগীর চিকিৎসা করাতে হয়।
সুতরাং সকল রোগীকে একই ধরনের চিকিৎসার আওতায় আনা যাবে না। সুতরাং কেবলমাত্র ট্যাবলেট, মলম, এবং থেরাপির নাম শুনে চিকিৎসা গ্রহণ করাতে ইতস্তত করা যাবে না।
আশা করি শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পেরেছি। তবে বর্তমান রিসার্চ অনুসারে বলা হয়ে থাকে এই রোগ সারাতে কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।
যদিও এই রোগ ঠোঁট ও নখের গোড়াতে দেখা দিলে রোগটিকে বেশ গুরুতর রোগ হিসেবে ধরে নেয়া হয়। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি।
সৃষ্টিকর্তা যেনো আমাদের সকলকে এই রোগের হাত থেকে রক্ষা করেন। আজকের এই আর্টিকেলের এখানেই ইতি টানছি। ধন্যবাদ সবাইকে।