
যারা চাকরি, হজ, ওমরাহ বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যেতে চান, তাদের প্রথম প্রশ্নটাই সাধারণত হয়, ঢাকা থেকে সৌদি আরব যেতে বিমান ভাড়া কত? আর আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব ঢাকা থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর যেমন রিয়াদ, জেদ্দা ও দাম্মাম পর্যন্ত ফ্লাইট ভাড়া, সময়, এয়ারলাইনস, এবং টিকিট কেনার কিছু দরকারি টিপস। সো সাথেই থাকুন!
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের তিনটি জনপ্রিয় গন্তব্য হলো:
এই তিনটি শহরেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মানে ঢাকা থেকে সরাসরি বা ট্রানজিট ফ্লাইট পাওয়া যায়।
প্রথমে বলে রাখি, ঢাকা টু সৌদি বিমান ভাড়া কত তা ডিপেন্ড করে সময়, সিজন, টিকিট বুকিংয়ের আগাম সময় এবং এয়ারলাইনসের উপর। তবে চলুন One-way টিকিট হিসেবে ঢাকা টু সৌদি বিমান ভাড়ার গড় হিসাবটা বলি:
আর যদি আপনি রিটার্ন টিকিট মানে যাওয়া-আসার জন্য টিকিট নেন, তাহলে ভাড়া সাধারণত ৳৯০,০০০ থেকে ৳১,৩০,০০০ টাকার মধ্যে পড়বে।
ঢাকা থেকে সৌদি আরবে যাওয়া যায় এমন কিছু জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশি এয়ারলাইনসের খবর নিচে দেওয়া হলো:
Biman Bangladesh Airlines: যার আরেক নাম বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস! যেটি কিনা সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে রিয়াদ, জেদ্দা ও দাম্মাম রুটে।
Saudi Arabian Airlines: এই এয়ারলাইনস সরাসরি ফ্লাইট এবং বেস্ট সার্ভিসের জন্য জনপ্রিয়।
Flynas Airlines: লো-কস্ট ফ্লাইটের জন্য বিখ্যাত। সো যারা সাশ্রয়ী টিকিট খুঁজছেন তাদের জন্য ভালো হবে।
Qatar Airways, Emirates, Etihad, Gulf Air: এটি একটি ট্রানজিট ফ্লাইট! যা দোহা, দুবাই বা আবুধাবি হয়ে যাবে।
ঢাকা থেকে সৌদি আরবে ফ্লাইটের সময় নির্ভর করবে ডেসটিনেশন এবং আপনার ফ্লাইট সরাসরি বা ট্রানজিট কিনা তার উপর। এক্ষেত্রে:
সাধারণত ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ আগে টিকিট বুক করলে ভালো ভাড়া পাওয়া যায়। আর রমজান, হজ মৌসুম, ও বছরের শেষ ভাগে মানে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির সময় ভাড়া অনেক বেড়ে যায়। তাই চেষ্টা করবেন অফ-সিজন মানে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল সময়ে টিকিট তুলনামূলকভাবে কম দামে কিনে নেওয়ার।
ঢাকা টু সৌদি ফ্লাইটে কম দামে টিকিট নিতে Skyscanner, Google Flights, অথবা Momondo এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলি চুজ করুন। এসব প্ল্যাটফর্মে আপনি বিভিন্ন এয়ারলাইনসের টিকিটের দামও চেক করতে পারবেন।
আর ঢাকা টু সৌদি ফ্লাইটে কম দামে টিকিট কিনতে সপ্তাহের মাঝামাঝি বা মঙ্গলবার বা বুধবারে চেষ্টা করতে পারেন। তাছাড়া অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি যেমন GoZayaan, ShareTrip, বা Flight Expert থেকে টিকিট কিনলে ডিসকাউন্ট বা অফারও পাবেন।
ঢাকা টু সৌদি ফ্লাইটে বেশিরভাগ এয়ারলাইনস যাত্রীদের জন্য যেমন লাগেজ পার্মিশন পাওয়া যায়:
তবে কিছু লো-কস্ট এয়ারলাইনস যেমন Flynas অতিরিক্ত লাগেজে চার্জ নিতে পারে। তাই টিকিট কেনার আগে পলিসি দেখে নেবেন।
সবশেষে বলবো ট্যুর প্ল্যান করার আগে অবশ্যই বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ঢাকা টু সৌদি বিমান ভাড়া দেখে নেবেন। আর যারা ওমরাহ বা হজ সিজনে টিকিট কিনবেন তারা অন্তত ২ মাস আগে বুকিং করবেন।
শেষে সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে লাগেজ সংগ্রহ করে আপনি রিয়াদ, জেদ্দা বা দাম্মাম শহরের মধ্যে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে ওখানেই থাকবে অফিসিয়াল ট্যাক্সি সার্ভিস, Careem বা Uber রাইড সার্ভিস এবং কিছু শহরে মেট্রো বা বাস সার্ভিস! আল্লাহ্ আপনার সফরকে নিরাপদ ও বরকতময় করুন।