স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কখন কানাডায় আসা উচিত !

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩
কানাডায় আসার বিভিন্ন লিগ্যাল ওয়ে রয়েছে। তারমধ্যে কম বয়সে আসার একটা সুযোগ হলো স্টুডেন্ট ভিসা। এখন কথা হলো স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কখন আসা যায় বা আসা উচিত। সবার মতামত এক হওয়ার কথা নয়। কানাডায় আসার সঠিক সময়টা একেক জনের কাছে একেক রকম হতে পারে।

কানাডায় আসার বিভিন্ন লিগ্যাল ওয়ে রয়েছে। তারমধ্যে কম বয়সে আসার একটা সুযোগ হলো স্টুডেন্ট ভিসা। এখন কথা হলো স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কখন আসা যায় বা আসা উচিত। সবার মতামত এক হওয়ার কথা নয়। কানাডায় আসার সঠিক সময়টা একেক জনের কাছে একেক রকম হতে পারে।

স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করা যায় HSC পাশের পরেই। কানাডায় এসে অনেকেই দুই বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা পড়েন যে কোনো কলেজে। আবার অনেকেই ব্যাচেলর ডিগ্রি পড়েন কোনো ইউনিভার্সিটিতে। আবার দেশ থেকে কেউ অনার্স পাশ করার পর মাস্টার্সের জন্য যে কোনো ইউনিভার্সিটিতে পড়তে আসেন কানাডায়।

আরো পড়ুন  সৌদি আরবে বৃত্তিসহ উচ্চশিক্ষার সুযোগ

                    স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কখন কানাডায় আসা উচিত !

যে লেভেলেরই স্টাডির জন্য কানাডায় আসেন না কেনো, খরচ সামাল দিতে পড়ালেখার পাশাপাশি অবশ্যই স্টুডেন্টদের পার্ট টাইম জব করতে হয়। তবে নির্ভর করবে প্রতিষ্ঠানটি জব করার পারমিশন দিচ্ছে কিনা বা কতো আউয়ার দিচ্ছে।
পড়াশোনার পাশাপাশি জব করে খরচ ওঠানো কম কথা নয়। টিকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টায় জব ও পরিশ্রম করে যেতে হয়।

যারা HSC এর পাশের পরপরই চলে আসছেন তাদের সংগ্রামের সময়টা একটু বেশিই হয়। কারণ তারা বেশি কম বয়সে আসছেন। HSC এর পরে আসলে সুবিধাও আছে, অসুবিধাও আছে। সুবিধা হলো, আপনি কানাডিয়ান পরিবেশে নিজেকে একেবারেই কম বয়সে অভ্যস্ত করাতে পারছেন। নিজেরাই জীবনধারণের জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম ও সংগ্রাম করে নিজেকে অনেক পরিপক্ক করতে পারছেন। নিজের ওপর নির্ভরশীলতা ছোট থেকেই রপ্ত করতে পারছেন। যেটার অবশ্যই একটা পজেটিভ সাইড রয়েছে।

HSC এর পরে আসলে অসুবিধা যেটা হবে সেটা হলো, মানসিক stress বলে একটা ব্যাপার থাকে সেটা অনেক বেশি অনুভব করতে পারেন। যদিও সবাই এসব কাটিয়ে ওঠেন তারপরেও সেটা মোকাবেলার জন্য আপনার প্রস্তুতি অনেক বেশি থাকতে হবে।

আরেকটা যে বিষয় থাকে সেটা হলো, PR এর আবেদনের জন্য যে নির্ধারিত পয়েন্টস লাগে সেটা ম্যানেজ করা ব্যাচেলর বা মাস্টার্সে পড়া স্টুডেন্টদের জন্য একটু সহজ হয় দুই বছরের ডিপ্লোমা পড়া স্টুডেন্টদের চেয়ে। কারণ বেশি সময় পড়াশোনা থাকলে পয়েন্টস একটু বেশি হয়। আবার কারোর যদি কানাডায় মাস্টার্স পড়তে আসার আগে ব্যাকহোমে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সেটা PR এর জন্য আবেদনের সময় পয়েন্টস বেশি হতে সাহায্য করে।

তাছাড়া যারা ব্যাচেলর বা মাস্টার্স পড়তে আসেন তারা অবশ্যই একটু বয়সে পরিপক্ক। তাই মানসিক stress টা অনেকটা পরিপক্কতার সঙ্গেই মোকাবেলা করতে পারেন।

এক বছরের কোনো কোর্স নিয়ে কানাডায় পড়তে আসলে ধরা খাবেন। এক বছরের স্টাডিতে এক বছরের অয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায়। যেটা PR এর জন্য আবেদনের সমস্যা হয়। কারণ পয়েন্টসটা মিট হয় না।

দুই বছর বা তার বেশি বছরের স্টাডিতে তিন বছরের অয়ার্ক পারমিট পাওয়া যাবে। এক বছর চাকরি করার পর তখন PR এর জন্য আবেদন করা যাবে। পয়েন্টসটা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তাই সবার PR পাওয়ার সময়ের পার্থক্য এক হয় না। কেউ আবেদনের এক বছরের মধ্যেও পেতে পারেন, আবার কারোর তিন বছরও লাগতে পারে। তবে বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকলে সবাই একটা সময় পর গর্বিত PR পেয়ে যান। তারপরে কানাডিয়ান সিটিজেন সবকিছুই হতে পারবেন।

স্টুডেন্ট ভিসায় আসলে আপনার spouse এর ভিসা এখন চোখের পলকে পেয়ে যেতে পারে। এমনকি ৩০ দিনও লাগছে না।

যাই হোক যে ভিসাতেই আসুন একটা কথা মনে রাখবেন কানাডায় আসার পর সঙ্গে সঙ্গে আপনি নরম গালিচায় পা ফেলে চলতে পারবেন না। শুরু থেকে বেশ অনেকটা সময় আপনার চলার পথ অমসৃণ হতে পারে। তবে কঠোর পরিশ্রম ও হার না মানা প্রতিজ্ঞা নিয়ে যদি পথ চলেন তাহলে টানলের শেষে আলো আপনি দেখবেনই।

আপনাদের জন্য শুভকামনা। আপনাদের মঙ্গল হোক।

টরন্টো, কানাডা থেকে কাজী হালিমা আফরীন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ