দেশের বাইরে জন্ম নেওয়া মায়েরা জন্ম দিচ্ছেন যুক্তরাজ্যের এক-তৃতীয়াংশ শিশু। নবজাতকদের মা ও বাবার দুটি তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা।
২০২২ সালে বাংলাদেশি মায়েদের গর্ভে নেওয়া নবজাতকের সংখ্যা ৭ হাজার ৭।
ন্যাশনাল অফিস ফর স্ট্যাটিসটিকসের (ওএনএস) সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, ২০২২ সালে ব্রিটেনে জন্ম না নেওয়া মায়েদের গর্ভে জন্ম হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩০৯ নবজাতকের। এ তালিকায় আফগানিস্তানকে পেছনে ফেলে ভারত এখন সবার শীর্ষে। এরপরেই আছে পাকিস্তান ও রোমানিয়া।
ওএনএস-এর নতুন তথ্য থেকে জানা গেছে, ব্রিটেনের বাইরে জন্ম নেওয়া মায়েদের সন্তান জন্মদানের সংখ্যা ২০২১ সালে ছিল ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৬। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩০৯ জন।
বিপরীতে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণকারী নারীদের সন্তান জন্মদানের সংখ্যা ২০২১ সালে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫৫ থাকলেও ২০২২ সালে তা কমে হয়েছে ৪ লাখ ২২ হাজার ১০৯।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর লন্ডনে জন্ম নেওয়া দুই-তৃতীয়াংশ নবজাতকের (৬৬.৫ শতাংশ) পিতামাতার একজন বা উভয়েই যুক্তরাজ্যের বাইরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রবীণ ব্যক্তিত্ব লোকমান উদ্দীন বলেন, বিয়ে ও সন্তান জন্মদানের তালিকায় বাংলাদেশিরা এগিয়ে থাকার মূল কারণ সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ।
এর আগে এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রিটেনে সবচেয়ে বেশি বিয়ের হার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের তুলনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বিয়ের হার ৪৫ গুণ বেশি। আর দেশটিতে বসবাসরত ক্যারিবীয় অশ্বেতাঙ্গদের তুলনায় এই হার ৭১ গুণ বেশি।
ন্যাশনাল অফিস ফর স্ট্যাটিসটিকসের (ওএনএস) সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, ২০২২ সালে ব্রিটেনে জন্ম না নেওয়া মায়েদের গর্ভে জন্ম হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩০৯ নবজাতকের। এ তালিকায় আফগানিস্তানকে পেছনে ফেলে ভারত এখন সবার শীর্ষে। এরপরেই আছে পাকিস্তান ও রোমানিয়া।