অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কোনো এজেন্ট বা কোনো সংস্থার মাধ্যমে পাওয়া যায় না। ভিসার ব্যাপারে কেউ আশ্বাস দিলে তা বিশ্বাস করার সুযোগ নেই। ভিসা পেতে আগ্রহীদের অবশ্যই নিজেদেরকে অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশনের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
করোনা মহামারির কারণে নাটকীয়ভাবে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন সংখ্যা প্রভাবিত হয়। তাই অস্ট্রেলিয়া স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ২০২৩ সালে রাজ্য ও অঞ্চলের জন্য ৩৫ হাজার ভিসার দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ব্যবসায়িক উদ্ভাবন এবং বিনিয়োগের জন্য আরও ৫ হাজার ভিসা বেশি দেওয়া হবে। 2023 সালে প্রায় ৪০ হাজার ৫০০ পার্টনার ভিসা ইস্যু করবে অস্ট্রেলিয়ান সরকার।
৩,০০০ এর বেশি চাইল্ড ভিসা দেওয়া হবে। এর আগে রাজ্যগুলোকে ২৫ হাজার ৩৪৬টি মনোনীত ভিসা ও ৬৪৭টি দক্ষ আঞ্চলিক ভিসা দেওয়া হয়েছিল। একই সাথে শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে তাদের নেশা যাচাই করা হচ্ছে মাত্র ৩ দিনে।
বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক অস্ট্রেলিয়া কাজের বিষয়ে নিয়োগ করা হয় তাই আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া কাজের বিষয়ে যেতে চান তাহলে ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান কাজের ভিসার জন্য আবেদন করুন। আবেদন প্রক্রিয়া নিচে বর্ণনা করবো সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা 2023 কত টাকা লাগে বাংলাদেশ থেকে যারা অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ খবর কারণ বর্তমান সময়ে অস্ট্রেলিয়া কাজের বিষয় যেতে খরচ অনেক অংশেই কমে গিয়েছে।
তবে আপনি যদি সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন তাহলেই শুধুমাত্র কম খরচে যেতে পারবেন আর যদি এজেন্সি অথবা দালালের মাধ্যমে যান তাহলে বেশি টাকা খরচ হবে।
বর্তমান সময়ে সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসায় যাওয়ার খরচ ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। তবে বেসরকারি বা এজেন্সির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে খরচ হবে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। আবার দালালের মাধ্যমে কাগজপত্র রেডি করা সহ ভিসা দালালের মাধ্যমে নিতে এ থেকেও বেশি খরচ হতে পারে।
তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া নয় বিশ্বাস যে কোন দেশে সেই সরকারিভাবে যেতে পারলে খুবই কম খরচে এবং ভালো পর্যায়ে যেতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন ২০২৩
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসায় আবেদন করতে immi.homeaffairs.gov.au এই লিঙ্কে গিয়ে মেনু থেকে Visa অপশনটি সিলেক্ট করুন এবং working in Australia এখানে ক্লিক করে skill সিলেক্ট করে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদন সম্পন্ন করে ভিসা আবেদন PDF ডাউনলোড করুন।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসায় কয়েকটি পদ্ধতিতে আবেদন করা যায় আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে তারাই আপনার কাজের ভিসায় আবেদন করে দিবে। আপনি যদি কোন দালাল ধরে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসায় যান তাহলে সেই দালাল আপনার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভিসা আবেদন করবে অথবা যদি কু চক্রান্তকারী দালাল হয়ে থাকে তাহলে আপনার টাকা মেরে দেবে।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা খরচ ২০২৩ অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা খরচ সরকারিভাবে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা তবে বেসরকারি বা এজেন্সির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসায় যাওয়ার খরচ প্রায় 6 থেকে 8 লক্ষ টাকা আবার অনেক সময় দালালের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হয় তখন দালালের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে প্রায় 8 থেকে 10 লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
তাই অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসায় যেতে কত টাকা খরচ হবে এই বিষয়ে একুরেট কোন তথ্য দেওয়া যাচ্ছেনা আপনি যদি কাজের বিষয়ে যেতে চায় তাহলে কোন একটা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন তাহলে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন তাদের কাছ থেকে।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা বেতন কত 2023
আমরা সকলে জানি অস্ট্রেলিয়া একটি উন্নত দেশ আর এ দেশে অনেকেরই যাওয়াটা একটি শব্দ থাকে আর এই স্বপ্নের দেশে গেলে অবশ্যই সবার আশা থাকে ভালো বেতনে কাজ করবে বা কাজের ভিসায় কি ভালো টাকা উপার্জন করবে। আর এজন্যই হয়তো আপনি জানতে চাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসায় বেতন কত টাকা পাওয়া যায়।
বর্তমান সময়ে আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা যান তাহলে প্রতি মাসে 40 থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন প্রতি মাসে কিছু কিছু কাজে এর থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করা যায় আর ওভারটাইমসহ এর থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রতিটি দেশে যাওয়ার জন্যই কিছু রিকোয়ারমেন্ট থাকে বা কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনি অস্ট্রেলিয়া কাজের বিষয়ে যেতে হলেও প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র রয়েছে চলুন আমরা দেখেনি অস্ট্রেলিয়া ভিসায় যেতে হলে আপনার কি কি কাগজপত্র লাগতে পারে।
প্রথমত আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন 6 মাস বা তার বেশি থাকতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে।
মেডিকেল রিপোর্ট ফিট থাকতে হবে।
করোনা টিকা কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
আপনি যে কাজের জন্য যাবেন সেই কাজের ওপর অভিজ্ঞতা এর প্রয়োজন হবে।