বাংলাদেশ দূতাবাস রিয়াদের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যমতে, যেসকল প্রবাসীদের ইকামা কোম্পানির অধীনে নিবন্ধিত, এবং ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার কারনে এক্সিট ভিসা নিয়ে দেশে ফিরে যেতে পারছেন না, তারা বিশেষ আউট পাস নিয়ে এক্সিট ভিসা গ্রহণ করে দেশে ফিরতে পারবেন। এখন থেকে দূতাবাসে যাওয়া ছাড়াই অনলাইনেই এই আউট পাস এর জন্য আবেদন করতে পারবেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
১/ যাদের ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।
২/ নতুন করে প্রবেশ করার পরে যাদের ইকামা হয়নি।
৩/ স্পন্সর যাদেরকে হুরুব দিয়েছে (পলাতক মর্মে রিপোর্ট করা হয়েছে)।
৪/ ইকামার মেয়াদ শেষ হওয়া সায়েক খাস ও আমেল মানজিলি পেশার কর্মীগন।
৫/ যাদের স্পন্সর/ কফিলের শারিকা / মুয়াসসাসা, সৌদি আরবের রিয়াদ, আল কাসিম, হায়েল, আল জৌফ, উত্তর সীমান্ত, এবং পূর্বাঞ্চল প্রদেশের বিভিন্ন শহরের মাকতাব আমলের আওতায় আছেন।
১/ যেসকল প্রবাসীর নামে থানা বা আদালতে মামলা রয়েছে।
২/ যারা বর্তমানে পলাতক এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
৩/ যারা ইতিপূর্বে এক্সিট ভিসা নেয়ার পরেও নির্ধারিত সময়ে দেশে ফেরত যাননি।
৪/ নারী গৃহকর্মীরা।
আরো জানতে প্রবাস জীবনের প্রতিচ্ছবি । প্রবাস প্রতিদিন ।
দূতাবাসের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী, এক্সিট ভিসা নিয়ে দেশে ফেরত আসার জন্য বিশেষ আউট পাস এর জন্য প্রবাসীরা অনলাইনেই আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন করার সময় প্রবাসীর পাসপোর্ট/ইকামার নাম, মোবাইল নম্বর, ইকামা নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, এবং আরো বেশকিছু তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করে সাবমিট করতে হবে। আবেদন সম্পন্ন হবার পর দূতাবাস এর ওয়েবসাইট থেকেই আবেদনের ব্যাপারে হালনাগাদ তথ্য জানা যাবে।
আবেদন করার পর আপডেট বা হালনাগাদ তথ্য জানার জন্য এই লিংকে ক্লিক করে ইকামা নম্বর দিয়ে সার্চ করতে হবে। যদি সার্চ করার পর দূতাবাসে আসার জন্য এপয়েন্টমেন্ট দেয়া থাকে, তবে সেই এপয়েন্টমেন্টটি প্রিন্ট করিয়ে তার সাথে যেসকল কাগজপত্র এবং ডকুমেন্ট চাওয়া হয়েছে, সেগুলো সাথে নিয়ে নির্ধারিত দিন এবং সময়ে দূতাবাসে আসতে হবে।
১/ ইকামার মেয়াদ শেষ হওয়া কর্মীদের রিয়াদ মাকতাব আমলের অধীনস্থ শারিকা/ মুয়াসসাসার কর্মীদের আবেদন দূতাবাসের মাধ্যমে রিয়াদ মাকতাব আমলে জমা প্রদান করা হবে। মাকতাব আমল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রক্রিয়া শেষে দূতাবাসে এক্সিট ভিসার ক্লিয়ারেন্স সরবরাহ করবে। এক্সিট ক্লিয়ারেন্স দূতাবাসে আসার পরে প্রবাসীর মূল ইকামা ও মেয়াদসহ পাসপোর্টের কপি দূতাবাসে জমা প্রদান করলে তা জাওয়াজাত এর নিকট প্রেরণ করা হবে। জাওয়াযাত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এক্সিট ভিসা প্রাপ্তির পর দূতাবাসে ভিসা কপি প্রেরণ করবে।
এই কার্যক্রম এর প্রতিটি ধাপের হালনাগাদ তথ্য জানতে ক্লিক করুন এই লিংকে >>
২/ রিয়াদ ছাড়া অন্যান্য মাকতাব আমলের অধীনস্থ শারিকা বা মুয়াসসাসার প্রবাসীদের বিশেষ আউটপাস এর জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে দূতাবাসের সুপারিশপত্র সরাসরি আবেদনকারীদের হাতে হাতে দেয়া হবে সংশ্লিষ্ট মাকতাব আমলে জমা দেয়ার জন্য। সংশ্লিষ্ট মাকতাব আমল হতে এক্সিট ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর ক্লিয়ারেন্সে উল্লেখিত জাওয়াজাত কেন্দ্রে গিয়ে সশরীরে এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করে নিতে হবে।
৩/ কফিল রিয়াদে অবস্থিত, এমন সায়েক খাস ও আমেল মানজিলি পেশার প্রবাসী কর্মী, যাদের ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তারা আবেদনের পর দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত এপয়েন্টমেন্ট অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে দূতাবাসে এসে মূল ইকামা ও মেয়াদ সহ পাসপোর্টের কপি জমা প্রদান করবেন। মূল ইকামাসহ আবেদন প্রেরণ করার পর জাওয়াজাত এক্সিট ভিসা প্রদান করলে আবেদনকারীকে জানানো হবে এবং তাকে ইস্যু হওয়া এক্সিট ভিসা সরবরাহ করা হবে।
১/ রিয়াদে কফিল অবস্থিত, এমন হুরুবপ্রাপ্ত বা পলাতন হিসেবে রিপোর্ট করা হয়েছে, সেসকল প্রবাসী কর্মীদের অনলাইনে আবেদন করার পর দূতাবাসের প্রদত্ত এপয়েন্টমেন্ট অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে দূতাবাসে এসে মূল ইকামা ও মেয়াদ সহ পাসপোর্টের কপি জমা দিতে হবে।
মূল ইকামাসহ আবেদন দূতাবাস জাওয়াজাত এর কাছে প্রেরণ করার পর জাওয়াজাত যখন এক্সিট ভিসা প্রদান করবে, তখন দূতাবাস আবেদনকারীকে জাওয়াযাত জাওয়াযাতে আবেদন প্রেরণ করার এক্সিট ভিসা প্রদান করলে আবেদনকারীকে সরবরাহ করা হবে।
২/ কফিল রিয়াদের বাইরের অবস্থিত, এমন হুরুবপ্রাপ্ত প্রবাসী কর্মীদেরআবেদনের পর দূতাবাসের দেয়া এপয়েন্টমেন্ট অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে দূতাবাসে আসতে হবে। সেদিনই দূতাবাসের সুপারিশপত্র আবেদনকারীর হাতে সরাসরি দিয়ে দেয়া হবে। দূতাবাসের পত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট জাওয়াজাতে গিয়ে এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ দূতাবাস রিয়াদের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যমতে যেসকল প্রবাসী কর্মীর নামে থানা অথবা আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, বা যারা ওয়ান্টেড অর্হতাত পলাতক বা মাতলুব রয়েছেন, তাদেরকে অবশই কর্তৃপক্ষের কাছে হাজির হয়ে মামলার নিষ্পত্তি করে তারপরে দেশে ফেরত যেতে হবে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিশেষ আউটপাস এবং এক্সিট ভিসার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।