মধ্যেপ্রাচ্যর দেশ কুয়েতে ভিসা নিয়ে শুরু হয়েছে বাণিজ্য। এই চক্রে ইতোমধ্য জড়িয়ে পড়ছে প্রবাসী বাংলাদেশীরাও। সম্প্রতি ভিসা নিয়ে প্রতারণার সাথে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে এক বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করেছে কুয়েতের পুলিশ।
জানা যায়, কুয়েতের জাহারা এলাকায় স্থানীয় আল-ওয়াহা থানায় করা এক অভিযোগে ওই বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করা হয়।
ভুক্তভোগী পুলিশকে জানান, তিনি তার এক সহকর্মীকে ৩০০ কুয়েতি দিনার দিয়েছিলেন তার বোনের ছেলেকে কুয়েতে নিয়ে আসার জন্য। ওই ব্যক্তি তখন দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশে একটি অফিসের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে, যারা তার বোনের ছেলেকে কুয়েতে নিয়ে আসতে পারবে। এজন্য ভুক্তভোগী ব্যক্তি ২০২০ সালের শেষের দিকে আল-ওয়াহা এলাকায় আসামির কাছে ৩০০ দিনার দিয়েছিলেন।
কুয়েতের গোয়েন্দা বিভাগ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানায়, তখন থেকেই ওই অভিযুক্ত বাংলাদেশী দিনার পরিশোধে বিলম্ব করেছে। একই সাথে তিনি প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হন। মামলাটি তদন্ত করছে আল-ওয়াহা থানা পুলিশ। একই সাথে অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা করছে তদন্ত সংস্থা।
গতকাল কুয়েত থেকে প্রবাসী বাংলাদেশী জালাল উদ্দিন নয়া দিগন্তকে বলেন, কুয়েতে বাংলাদেশীরা এখন ভিসা বেচাকেনার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এখানে বাংলাদেশ ছাড়া আরো কয়েকটি দেশের মিলিয়ে চক্র তৈরি হয়েছে। যার দরুন একটা ভিসা নিয়ে ঢাকা থেকে কুয়েত আসতে এখন লাগছে সাত লাখ টাকা। দুই দেশের সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং করলে এই চক্রের অপতৎপরতা কমে আসবে। কারণ এখানে বেশি টাকা খরচ করে এলেও বেতন ২০-২৫ হাজার টাকার বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই যারা কুয়েত আসার পরিকল্পনা করছে তারা যেন ভিসা সিন্ডিকেটের খপ্পরে না পড়েন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য তিনি কুয়েত আগতদের পরামর্শ দিয়েছেন।
সূত্র নয়া দিগন্ত