কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা,লাবণী,কলাতলী সহ বেশকয়েকটি পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছে কয়েক শতাধিক ঝুপড়ি দোকান। এসব দোকানে ঝিনুক, আচারসহ বিভিন্ন বার্মিজ সামগ্রী বিক্রি করা হয়। দোকানগুলোর ফলে সমুদ্র সৈকত শ্রীহীন হওয়ার অভিযোগ করেন পর্যটক ও সারণ মানুষ।
বেশ কয়েকবার উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়া হলেও উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে রিট করার ফলে আটকে যায় উচ্ছেদ অভিযান।
অবশেষে সেই ঝুপড়ি দোকানগুলো উচ্ছেদ শুরু করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল ৯টায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এসময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ জানান, উচ্চ আদালতের আদেশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ শেষ হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ঝিনুক দোকানগুলোর উপর প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি পরিবার নির্ভরশীল। পুনর্বাসন না করলে তাদের না খেয়ে থাকতে হবে। পাশাপাশি ঝিনুক শিল্পও ধ্বংস হয়ে যাবে।
তবে দোকানদারদের পুনর্বাসন দাবীর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান।