জাপানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের প্রবেশে বেশ কিছু প্রধান বাধা রয়েছে।
জাপানে কাজ করতে গেলে জাপানি ভাষা (Japanese Language Proficiency) জানা বাধ্যতামূলক।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই JLPT N4 বা N3 লেভেলের সার্টিফিকেট চায়।
অনেক বাংলাদেশির কাছে এই ভাষাগত দক্ষতা নেই, ফলে তারা বাদ পড়ে।
জাপানে শ্রমিক নিতে হয় TITP (Technical Intern Training Program) বা SSW (Specified Skilled Worker) প্রোগ্রামের মাধ্যমে।
কিন্তু বাংলাদেশে এই ধরনের প্রশিক্ষণের সুযোগ সীমিত বা প্রচার কম।
ফলে অনেকেই সঠিকভাবে প্রস্তুত না হয়েই আবেদন করেন।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জাপানে শ্রমবাজারে প্রবেশের জন্য পর্যাপ্ত উদ্যোগ ও চুক্তি কম।
অন্য দেশ যেমন ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম এসব দেশে সরকারি সহযোগিতা বেশি।
অনেক বাংলাদেশি ভুয়া এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে জাপানে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এতে তারা প্রতারিত হন এবং জাপান সরকারের চোখে অবিশ্বস্ত দেশের তালিকায় পড়ে।
জাপানের কাজের পরিবেশে নিয়ম-কানুন, সময়ানুবর্তিতা, দলগত কাজ—এসব খুব গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক বাংলাদেশি এই বিষয়গুলো ঠিকভাবে মানতে না পারায় সমস্যা হয়।
ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি দেশ জাপানি ভাষায় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শ্রমিক নিয়মিত পাঠাচ্ছে।
বাংলাদেশ এদের সাথে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে আছে।
বাংলাদেশিদের জন্য জাপানের শ্রমবাজারে প্রবেশে মূল বাধাগুলো হলো:
👉 ভাষা সমস্যা,
👉 দক্ষতার ঘাটতি,
👉 দালালদের প্রতারণা,
👉 সরকারি সমন্বয়ের অভাব এবং
👉 আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা।
সমাধান:
সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ বাড়ানো,
জাপানি ভাষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা,
সচেতনতা বৃদ্ধি করা—এগুলো করলে এই বাধাগুলো ধীরে ধীরে কমে যাবে।