আপনি জানেন কি, বর্তমানে ফ্রি স্কলারশিপ পাওয়া একটা চালাকি। শুধু জিনিয়াসরাই স্কলারশিপ পাবে এমন ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। যদি আপনার প্রবল ইচ্ছে এবং আগ্রহ থাকে তাহলে খরচ থেকে শুরু করে প্লেনের টিকেট, সবই ১০০% ফ্রি তে পাওয়া সম্ভব!
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনিও জানতে পারবেন কিভাবে ১০০% ফ্রিতে স্কলারশিপ পাওয়া যায়, কোন কৌশল অবলম্বন করতে হয় এবং কিভাবে শুরু করা যায়। পড়তে থাকুন, কারণ শেষের দিকে আপনি জানতে পারবেন এক সিক্রেট ওয়েবসাইট সম্পর্কে যার মাধ্যমে আপনিও পেতে পারেন লক্ষ টাকার স্কলারশিপ।
স্কলারশিপ হলো আপনার মেধার স্বীকৃতি, সম্মান ও গৌরবের এক প্রতীক যেখানে আর্থিক সুবিধাও থাকবে। আর যেই দেশে আপনি স্কলারশিপ নিয়ে যাবেন সেই দেশ যদি আপনার সম্পূর্ণ খরচ বহন করে তাহলে সেটা হবে ফ্রি স্কলারশিপ।
১০০% ফ্রি স্কলারশিপ পাওয়া কিন্তু বর্তমান সময়ে তেমন কঠিন কিছু না৷ কিন্তু, যেহেতু আপনি সম্পূর্ণ ফ্রি তে স্কলারশিপ পেতে চান, সুতরাং আপনার বেশকিছু কোয়ালিটি এবং ফরেইন মেইনটেইনেন্স জানতে হবে। এক্ষত্রে প্রয়োজনীয় কোয়ালিটি এবং গুরুত্বপূর্ণ স্টেপসমূহ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো:
বিভিন্ন বিষয়ে স্কলারশিপ দেয় এমন জনপ্রিয়
দেশসমূহে সর্বপ্রথমেই থাকবে জার্মানি।
জার্মানি (Germany) – জার্মানির Public University তে প্রায় সবকিছুই সম্পূর্ণ ফ্রি।
তুরস্ক (Turkiye Burslari) – পড়ালেখার খরচ সহ যাবতীয় সমস্ত খরচ একদম ফ্রি।
চীন (CSC Scholarship) – বাসা ভাড়া, খাবার, ফ্লাইটসহ সব কিছু সম্পূর্ণ ফ্রি।
ইউ কে (Chevening Scholarship) – এক কথায় বলতে গেলে এই স্কলারশিপ হলো Royal Treatment. উন্নত পড়ালেখার পরিবেশের সাথে যাবতীয় খরচ সমূহ বহন করে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।
জাপান (MEXT Scholarship) – এটি বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় স্কলারশিপ। বিলাসবহুল পরিবেশের সাথে সব ধরনের খরচ বহন করে কর্তৃপক্ষ।
কানাডা/অস্ট্রেলিয়া/ইউএসএ – Fulbright, Vanier, Erasmus সহ বিভিন্ন ফ্রি স্কলারশিপ দেয়া হয় এসব কান্ট্রি থেকে।
এই স্কলারশিপের জন্য একাডেমিক রেজাল্ট (GPA) অন্তত ৩.৫ (out of ৪) হলে ভালো হয়। তাছাড়া IELTS/TOEFL প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ৬.৫+ SOP (Statement of Purpose) এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি Recommendation Letter বা সুপারিশ পত্র, CV বা Resume এর দরকার হয় যা আপনি আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন।
নিচে দেয়া ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে আপনি সরাসরি পছন্দের স্কলারশিপ খুজে বের করে আবেদন করতে পারেন:
এই স্কলারশিপের মোট খরচ ০ টাকা! হ্যাঁ, আপনি ঠিকই জেনেছেন। সম্পূর্ণ ফ্রি অফ কস্টে আপনি পাবেন এই স্কলারশিপ। অবাস্তব মনে হলেও দিস ইজ দ্যা রিয়েলিটি।
CV/SOP তৈরিতে নিজেকে প্রো করে তুলুন! এই অংশে যদি আপনি অবহেলা করেন তাহলে স্কলারশিপও আপনাকে Bye Bye জানিয়ে চলে যাবে!
স্কলারশিপের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো টাইমলি আবেদন করা। কারণ ডেডলাইন মিস মানেই… স্কলারশিপ এর আশা শেষ! মনে রাখবেন সাধারণত জুলাই নভেম্বর মাসের মধ্যে Application Window খোলা থাকে এবং জানুয়ারি-এপ্রিল মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হয়।
এক্ষেত্রে প্রথমেই টিউশন ফি ৮-১৫ লাখ টাকা (ফ্রি)। মাসিক ভাতা হিসেবে ৫০,০০০-১,২০,০০০ টাকা প্রতি মাসেই দেয়া হয়। ফ্লাইট টিকিটের জন্য পাবেন ৫০,০০০-১,০০,০০০ টাকা সম্পূর্ণ ফ্রি। আবাসন ও খাবার খরচের জন্য ৭-১০ লাখ টাকা প্রতি বছর। সর্বমোট প্রায় ৩০-৪০ লাখ টাকার সুবিধা আপনি পাবেন ১০০% ফ্রিতে!
১০০% ফ্রি স্কলারশিপ কিভাবে পাবো? এই প্রশ্নের উত্তর এখন আপনি জানেন। শুধু একটু নিজের মেধা খাটিয়ে এবং চালাকি ও পরিশ্রমের স্বমন্বয়ে আপনিও পেতে পারেন স্বপ্নের স্কলারশিপ। তাই আর দেরি না করে আজই কাজে লেগে পড়ুন।