আপনি কি মালয়েশিয়ায় বিজনেস করতে চান? কিংবা কোম্পানি ভিসা নিয়ে দেশটিতে গিয়ে নিজের ভাগ্য বদলাতে চান? যদি চান তবে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো একটি মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসার জন্য বিস্তারিত এবং উপযোগী গাইডলাইন। সুতরাং শেষ অবধি আমাদের সাথেই থাকুন।
সাধারণ কথায় মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা ভিসা হলো মালয়েশিয়া কর্তৃক প্রদানকৃত এক ধরণের ভিসা। যেটির মাধ্যমে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা মালয়েশিয়া বিজনেস করতে পারবে।
চলুন এবারে মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসার ধরনসমূহ নিয়ে আলোচনা করা যাক:
যারা বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন তাদের জন্য এই এমপ্লয়মেন্ট পাস ভিসা যার তিনটি টাইপ রয়েছে। এগুলি হলো:
ইপি শ্রেণি |: ইপি শ্রেণি ওয়ান সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের জন্য যাদের মাসিক বেতন MYR ১০০০০ বা তার বেশি।
ইপি শ্রেণি ||: এই স্তরটি মিডিয়াম লেভেলের পেশাজীবিদের জন্য যাদের বেতন ৫০০০-১০০০০ MYR এর মধ্যে।
ইপি শ্রেণি |||: এই লেভেলটি নিম্ন দক্ষ কর্মীদের জন্য যাদের মান্থলি ইনকাম ৩০০০-৫০০০ MYR এর মধ্যে।
মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসার ক্ষেত্রে এটি সেই সকল উদ্যোক্তা বা ইনভেস্টরসদের জন্য যারা সেখানে একটি নিজস্ব ব্যবসা দাড় করাতে চান। মেইনলি এইক্ষেত্রে দুই টাইপের ভিসা রয়েছে। সুগুলো হলো:
এন্ট্রেপ্রেনার পাস ১: যারা সম্পূর্ণ নতুন ব্যবসা মালয়েশিয়ায় দাড় করাতে চান এটি তাদের জন্য।
এন্ট্রেপেনার পাস ২: যারা একটি রানিং ব্যবসাকে মালয়েশিয়ায় শিফট বা বাড়াতে চান এটি তাদের জন্য।
যারা মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় ইনভেস্ট করে কোম্পানির উল্লেখযোগ্য অংশীদার হতে চান এই ভিসা তাদের জন্য। সাধারণত বড় ইনভেস্টরদের জন্য এটি উপযুক্ত।
লং-টার্ম সোশ্যাল ভিসা হলো মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসার অন্যতম একটি প্রকারভেদ বা ধরণ। যারা মালয়েশিয়ায় অনেকদিন ধরে থাকতে চান তারা এই ধরণের কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এই ধরণের ভিসার আন্ডারে আপনি মালয়েশিয়াতে বিজনেসও করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা পেতে আপনাকে বেশ স্টেপ ফলো করতে হবে। এগুলো হলো:
আপনি আপনার আবেদনটি মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগ কিংবা নিকটস্থ মালয়েশিয়ান দূতাবাসে অনলাইনে জমা দিতে পারবেন। এটি স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে এপ্রুভ হবে।
অনুমোদন পেলে আপনাকে একটি অনুমোদন লেটার দেয়াসহ এমপ্লয়মেন্ট পাস ও ভিসার জন্য একটি ভিসা স্টিকার আপনার পাসপোর্টে যুক্ত করা হবে।
ভিসাটির মাধ্যমেই আপনি মালয়েশিয়ায় ঢুকতে পারবেন এবং আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন বিভাগের সাথে সুসম্পর্ক রাখলে আপনার সুবিধা হবে।
জেনারেলি ভিসার টাইপ ও ম্যানেজম্যান্ট টাইমের ওপর নির্ভরশীল। নিচে এই খরচ সম্পর্কে বাংলাদেশি টাকার একটি খরচপত্র দেয়া হলো:
১. এমপ্লয়মেন্ট পাস বা ইপি
EP শ্রেণী I: ৬০,০০০ – ৮০,০০০ BDT
EP শ্রেণী II: ৫০,০০০ – ৭০,০০০ BDT
EP শ্রেণী III:৩০,০০০ – ৫০,০০০ BDT
২. এন্ট্রেপেনার পাস:
EP 1: ৮০,০০০ – ১,০০,০০০ BDT
EP 2: ১,০০,০০০ – ১,৫০,০০০ BDT
৩. ইনভেস্টর বা বিনিয়োগকারী ভিসা:
ইনভেস্টর ভিসা: ১,২০,০০০ – ১,৫০,০০০ BDT
৪. লং টাইম সোশ্যাল ভিসা:
সোশ্যাল ভিসা: ২০,০০০ – ৩০,০০০ BDT
তাছাড়া মালয়েশিয়ান বিভিন্ন প্রশাসনিক খরচ অনুযায়ী এই খরচের পরিবর্তন হতে পারে।
মালয়েশিয়ায় কোম্পানি ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আপনাকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মাথায় রাখতে হবে। সেগুলো হলো:
মালয়েশিয়ায় কোম্পানি ভিসা নিয়ে যদি আপনি সফল হতে চান তবে উপরের সাজেশনগুলো অবশ্যই ফলো করবেন। সবসময় বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে যেকোনো বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করে নিজের জীবনকে সুন্দর করে তুলুন। পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় কোম্পানি ভিসার ক্ষেত্রে দালালের হাত থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবেন।