বিদেশে গিয়ে সফল হতে না পেরে যারা দেশে ফিরে আসছেন এবং যারা টাকা অভাবে বিদেশে যেতে পারছেন না তারা প্রত্যেকেই চাইলে লোন নিতে পারবেন। সেই লোনের টাকা দিয়ে যেতে পারবেন বিদেশ এবং কাজে লাগাতে পারবেন বিদেশে ইনকাম করার সুযোগ।
চলুন তবে আজকের এই লেখাটির মাধ্যমে জেনে নিই বর্তমানে কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় এবং কিভাবে এই লোন নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
যারা ৭-১০ দিনের মধ্যে লোন পাওয়া যায় এমন ব্যাংক খুঁজছেন তারা প্রবাসী লোন নিতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সাহায্য নিতে পারেন।
ইতিমধ্যেই তারা প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি প্রবাসীকে সাহায্য করেছে। তাছাড়া সমস্ত কাগজ ও শর্ত পূরণ করলে তারা বেশ অল্প দিনেই আপনাকে লোন দেবে। সবকিছু ঠিক থাকলে মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রবাসী হিসাবে লোন পেতে উপরোক্ত ডকুমেন্টস নিয়ে ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করুন এবং আবেদনের পর সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করুন। আশা করি লোন পেয়ে যাবেন।
হালাল ও ইসলামী শরিয়া ভাবে যারা প্রবাসে যেতে লোন নিতে চান তারা ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন নিয়ে কিছুটা উপকৃত হতে পারেন। এখানে একটি বিষয় ক্লিয়ার করা উচিত এবং সেটি হলো ইসলামি ব্যাংক সুদ নেয় কিনা। উত্তর হলো “না”। তারা যে ইন্টারেস্টটি নেয় সেটিকে ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ বলা হয়। যা সুদ নয়।
যাইহোক! যেসব প্রবাসীরা এই ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তারা সরাসরি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের যেকোন শাখাই ডকুমেন্টস নিয়ে গেলেই আবেদন সেরে নিতে পারবেন। আর কি কি ডকুমেন্টস লাগবে তা জানতে নিচের পয়েন্টগুলি পড়ুন।
উপরোক্ত কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংকে বিস্তারিত জানালেই তারা আপনাকে প্রবাসী লোন নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। তবুও যাদের মনে প্রশ্ন থেকে গেছে তারা বিস্তারিত জানতে সরাসরি এই নাম্বার ১৬২৫৯/০৯৬১১০১৬২৫৯ কল দিন এবং বিস্তারিত জেনে নিন।
এবার আসি সোনালী ব্যাংক প্রবাসী লোনের ব্যাপারে। যাদের তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন লাগবে তারা সোনালী ব্যাংক প্রবাসী লোনের সাহায্য নিতে পারেন।
মূলত প্রবাসী কত সময় পর্যন্ত বা কতদিন পর্যন্ত লোন শোধ করতে পারবে তার উপর কিস্তির ভিত্তিতে আপনাকে লোনের টাকাটা পরিশোধ করতে হবে। যারা সুদের হার ১২% হিসাব করে লোন নিতে প্রস্তুত আছেন তারা এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন।
আবেদন পত্র পূর্ণ করে উপরোক্ত ডকুমেন্টসসহ নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকে গেলেই আপনি লোন পেয়ে যাবেন। সবশেষে আপনাকে ঋণ কিসের কারণে নিচ্ছেন ও প্রতি মাসে নিয়মিত ঋণ কিস্তি হিসাবে দিবেন কিনা তার উপর চুক্তিতে সাইন করে আসবে।
সবশেষে আলোচনা করবো সিটি ব্যাংক প্রবাসী লোন সিস্টেমের ব্যাপারে। লাইসেন্স ছাড়াই প্রবাসীদের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিটের ভিত্তিতে এই ব্যাংকটি লোন দিয়ে থাকে। সিটি ব্যাংক প্রবাসী লোন পাওয়ার উপায় জানতে এবং কি কি কাগজপত্র লাগে সে-সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
মনে রাখবেন সিটি ব্যাংক কিন্তু প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভর করে ঋণ দেয়। আপনি বিদেশে গিয়ে কত টাকা কামাতে পারবেন অথবা আপনার বর্তমান ভিসার কাজের বেতন কত সে-সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে ব্যাংক কতৃপক্ষকে। এর উপরই ভিত্তি করে আপনি টাকাটা পাবেন।