বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ড কাজের ভিসা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪
বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ড কাজের ভিসা
বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ড কাজের ভিসা

 

প্রতিটি কারখানা বা কোম্পানিতে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করে ইদানীং বিশ্ব শ্রমবাজারে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পোল্যান্ড। সুতরাং যারা ২০২৪ সালে বিদেশে গিয়ে নিজের ভাগ্যের চাকাকে করবেন ভাবছেন তারা প্রয়োরিটি লিষ্টে পোল্যান্ডকে রাখতে পারেন। 

 

এরই প্রেক্ষিতে জেনে নিতে পারেন পোল্যান্ডের কাজের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতাসহ অন্যান্য সকল তথ্য। বিস্তারিত জানতে সাথেই থাকুন। 

 

পোল্যান্ড কাজের ভিসা

পোল্যান্ডে কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে পোল্যান্ডের ভিসা পেতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মাঝে নিজের ভিসা পছন্দ করে নেবার সুযোগ রয়েছে। 

 

যদিও আপনি কোন ভিসাটি নিতে পারবেন তা নির্ভর করবে আপনার কাজের ধরণ এবং পজিশনের উপর। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে পোল্যান্ড কাজের ভিসার ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি৷ 

 

পোল্যান্ড কাজের ভিসার ধরণ

শুরুতেই বলেছি সকল পোল্যান্ড কাজের ভিসার ধরণ কিন্তু এক নয়। যা বুঝতে হলে পোল্যান্ড কাজের ভিসার ধরণ নিম্নোক্ত তথ্যগুলি মাথায় রাখতে হবে: 

 

১. টাইপ এ ভিসা: অনেক উচ্চ মানের যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এই টাইপ এ ভিসার ব্যবস্থা রয়েছে। যে ভিসার আন্ডারে কাজ এবং বেতনের পরিমাণ দুটোই পূর্ব নির্ধারিত থাকে। 

 

২. টাইপ বি ভিসা: কৃষি বা পর্যটনের মতো সেক্টরে কাজ করার ক্ষেত্রে পোল্যান্ড গমনের পূর্বে এই ধরণের ভিসার ব্যবস্থা করতে হয়। এই ভিসায় কাজের নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করতেই হবে। বলে রাখা ভালো এই ধরণের ভিসার অপর নাম হলো সিজনাল ভিসা। 

 

৩. টাইপ সি ভিসা: পোল্যান্ডের কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করতে চান? যদি চান সেক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন এই টাইপ সি ভিসা। ম্যানেজারিয়াল বা বিশেষজ্ঞ পদে পোলিশ শাখায় বাংলাদেশ থেকে মূলত পোল্যান্ডে ট্রান্সফারে ইচ্ছুক ব্যাক্তিদের জন্যেই এই ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

 

৪. টাইপ ডি ভিসা: সাধারণ কর্মসংস্থানের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ভিসা হিসাবে আপনি এই টাইপ ডি ভিসার আন্ডারে পোল্যান্ডে যেতে পারেন। এই ভিসার অপর নাম হলো কর্মী ভিসা। যার সাহায্যে আপনি পোল্যান্ডে যেকোনো ক্যাটাগরির কাজ করার সুযোগ পাবেন। 

 

৫. টাইপ এস ভিসা: এই ভিসার অপর নাম হলো শর্ট স্টে ওয়ার্ক ভিসা। যার আন্ডারে আপনি সর্বোচ্চ ৯০ দিন পোল্যান্ডে অবস্থান করতে পারবেন। 

 

পোল্যান্ড কাজের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

এবার আসি পোল্যান্ড কাজের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা পাওয়ার ব্যাপারে। মূলত পোল্যান্ডের ভিসা পেতে হলে আপনাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে: 

  • একজন পোলিশ নিয়োগকর্তার কাছ থেকে একটি বৈধ চাকরির অফার পেতে হবে
  • আপনার নিয়োগকর্তাকে অবশ্যই আপনার পক্ষ থেকে একটি ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবস্থা করতে হবে
  • ব্যবস্থা করা ওয়ার্ক পারমিটটির অবশ্যই মেয়াদ থাকতে হবে 
  • অন্তত ৩ থেকে ৬ পর্যন্ত মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট থাকতে হবে
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ থাকতে হবে
  • অবশ্যই নিজের হেল্থ বীমা নিশ্চিত করতে হবে 

 

পোল্যান্ড কাজে ভিসা পাওয়ার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস 

পোল্যান্ড কাজে ভিসা পাওয়ার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলি হলো: 

 

বৈধ পাসপোর্ট: কমপক্ষে ৩ থেকে ৬ মাসের মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট থাকতে হবে। 

 

ভিসা আবেদনপত্র: আপনি যে ভিসা আবেদনপত্রটি ইতিমধ্যেই ফিলআপ করেছেন সেই আবেদনপত্রটি সাথে সাথে থাকতে হবে। 

 

ছবি: সাথে থাকতে হবে ২ টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। 

 

বীমা এবং আবাসন: সবশেষে প্রয়োজন পড়বে আপনি যে পোল্যান্ডের হেল্থ বীমা করেছেন তার প্রমাণ এবং হোটেল বুকিং, ভাড়া সম্পর্কিত ডিল ইত্যাদির ডকুমেন্টস 

 

পোল্যান্ড কাজে ভিসা পাওয়ার অতিরিক্ত ডকুমেন্টস

সবশেষে পোল্যান্ড কাজে ভিসা পাওয়ার অতিরিক্ত ডকুমেন্টস হিসাবে প্রয়োজন পড়বে: 

  • যোগ্যতার প্রমাণ
  • কাজের অভিজ্ঞতার ডকুমেন্টস 
  • বেতনের প্রমাণ
  • নিয়োগ চুক্তি
  • বিদেশে কোম্পানির সাথে চাকরির প্রমাণ
  • ট্রান্সফার লেটার
  • বৈধ ওয়ার্ক পারমিট
  • কর্মসংস্থান চুক্তি
  • সবশেষে যোগ্যতা প্রমাণের জন্য আমন্ত্রণপত্র

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ