শিরোনাম:
কম খরচে বাই রোডে পাকিস্তান ভ্রমণ করবেন যেভাবে দাগনভূঞা গাউছিয়া আহমদিয়া আমিনিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসায় সবক অনুষ্ঠান ২০২৫ইং অনুষ্ঠিত সন্তানদের শিক্ষিত করে মা বাবা নিঃসঙ্গ নেপালের দর্শনীয় স্থান | নেপাল ভ্রমণের উপযুক্ত সময় | বাংলাদেশ টু নেপাল বিমান ভাড়া ঘরে বসে দালাল ছাড়াই কানাডা ভিসা আবেদন করার নিয়ম কানাডা যাওয়ার সহজ উপায়: না পড়লে চরম মিস যেভাবে টোফেল প্রিপারেশন নিলে স্কলারশিপ নিশ্চিত  জাপানের ১০টি দর্শনীয় স্থান: কম খরচে ঘুরে আসুন জাপান  উচ্চ শিক্ষায় ফেলোশিপ কি: জানুন বিস্তারিত বাংলাদেশ থেকে জাপানে কিভাবে ফ্রি স্কলারশিপ পাওয়া যায়: যেখানে পড়তে লাগবে না কোনো টাকা

আমার স্বামীই হারুন স্যারকে প্রথমে আঘাত করেন : এডিসি সানজিদা

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
এডিসি সানজিদা আফরিন। ছবি : সংগৃহীত

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধরের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এডিসি হারুনকে। ঘটনার সূত্রপাত বারডেম হাসপাতালে। সেখানে এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে ছিলেন এডিসি হারুন-অর-রশীদ।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটলেও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি এডিসি সানজিদার।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি।সানজিদা আফরিন আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী। তিনি ৩১তম বিসিএসের কর্মকর্তা। ডিএমপির ক্রাইম বিভাগে অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।

আজিজুল হক মামুনই প্রথমে এডিসি হারুন-অর-রশীদকে আঘাত করেন বলে দাবি করেছেন সানজিদা। তিনি বলেছেন, ‘আমার স্বামীই হারুন (হারুন-অর-রশীদ) স্যারকে প্রথমে আঘাত করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আমার কার্ডিয়াক সমস্যা হচ্ছিল। ২০১৯ সাল থেকে আমি হাইপার টেনশনের মেডিসিন খাচ্ছি।

 

চার-পাঁচ মাস ধরে সমস্যাটা বেড়ে যায়। শনিবার ব্যথা বেড়ে যায়, সেদিন ফ্রি সময় থাকায় ডাক্তার দেখাতে চাই। আমি যে ডাক্তারকে দেখাই, তিনি দেশের বাইরে থাকায় এবং ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে এডিসি হারুন স্যারকে একটি সিরিয়াল ম্যানেজ করে দিতে বলি। তিনি ওসির মাধ্যমে সিরিয়াল ম্যানেজ করে দেন।’তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় ৬টায় আমি সেখানে যাওয়ার পরে দেখলাম, যেই ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হয়েছে তিনি একটি কনফারেন্সে আছেন।

বিষয়টি হারুন স্যারকে জানালে, তিনি আশপাশে থাকায় হাসপাতালে আসেন। তিনি এসে একজন ডাক্তারকে ম্যানেজ করেন। তাকে দেখানোর পর বেশ কিছু টেস্ট দেন।’ঘটনার সময় সানজিদা ইটিটি রুমে ছিলেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, “এ ঘটনার সময় আমি যে রুমে ইটিটি করানো হয় সেই রুমে ছিলাম। ইটিটি করানোর ১৫-২০ মিনিট পর আমি বাইরে একটা হট্টগোলের শব্দ শুনি। প্রথম যে সাউন্ডটা (শব্দটা) কানে আসে যে স্যারই (এডিসি হারুন) চিৎকার করে বলছেন—‘ভাই আপনি আমার গায়ে হাত তুললেন কেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না’।”

তিনি বলেন, ‘আমার প্রথমে ধারণা হয়েছিল যে হয়তো অন্য কারো সঙ্গে ঝামেলা। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর আমি দেখতে পাই আমার হাজব্যান্ড (আজিজুল হক মামুন), উনি আসলে ওখানে কী করছিলেন, কেন গিয়েছিলেন আমি জানি না। ওনাকে টোটালি আউট অব মাইন্ড লাগছিল (মানসিকভাবে স্থির ছিলেন না) এবং খুবই উত্তেজিত ছিলেন। ওনার সঙ্গে আরো কয়েকজন ছেলে ছিল, আমি আসলে তাদের চিনি না। স্যারকে (এডিসি হারুন) মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে এলেন।’

‘তারা মূলত স্যারকে (এডিসি হারুন) মারতে মারতে, টেনে-হিঁচড়ে এই রুমে নিয়ে আসে। স্যার তাদের হাত থেকে বাঁচতে ইটিটি রুমের এক কোনায় গিয়ে দাঁড়ান’, যোগ করেন সানজিদা।

সানজিদা বলেন, “এরপর আমার হাজব্যান্ড তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে বললেন, ‘এই ভিডিও কর।’ এরপর সবাই ফোন বের করে ভিডিও করা শুরু করে। যখন তারা ভিডিও শুরু করে তখন আমি আমার হাজব্যান্ড এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে চিল্লাচিল্লি শুরু করছিলাম। এরপর আমি যারা ভিডিও করছে তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের হাতের সঙ্গে লেগে আমার হাতেও আমি সামান্য ব্যথা পাই। কারণ আমি চাচ্ছিলাম না সেই অবস্থায় কেউ আমার ভিডিও করুক। আর আমার হাজব্যান্ডের সঙ্গে যেসব ছেলে ছিল আমি তাদের কাউকে চিনতামও না।”

এদিকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশীদের ওপর আগে হামলা চালিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন, দাবি করছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন ডিবিপ্রধান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ