বাংলাদেশিদের জন্য ফ্যামিলি ভিসা চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী সালমান বিন হামাদ আল খালিফা। বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মাদ নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল সোমবার ক্রাউন প্রিন্সের গুদায়বিয়া প্রাসাদে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত তার সময়ে সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাহরাইনের বাদশাহ, ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রীসহ দেশটির সরকারক ও জনগণকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। করোনা মোকাবিলায় বাহরাইন সরকারের নেওয়া কার্যকরী পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন অগ্রযাত্রার সাফল্যগাথা তুলে ধরেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ড. নজরুল ইসলাম বাংলাদেশিদের জন্য নতুন শ্রমবাজার খোলাসহ ভিসা পাওয়া সহজ করার অনুরোধ জানান। বিশেষ করে ফ্যামিলি ভিসা প্রদানের বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনার জন্য জোর দেন। প্রত্যুত্তরে ক্রাউন প্রিন্স অন্যান্য বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূতের বাহরাইন ছেড়ে যাওয়ার আগে বাংলাদেশিদের ফ্যামিলি ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বাহরাইন ক্রাউন প্রিন্সকে ধন্যবাদ জানান ও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এই পরিপ্রেক্ষিতে ক্রাউন প্রিন্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন নির্বাচনে আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং তার সুবিধাজনক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাহরাইন সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সালমান বিন হামাদ আল খালিফা রাষ্ট্রদূতকে সফলভাবে তার মেয়াদ সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। ঐ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরিশেষে, ক্রাউন প্রিন্স রাষ্ট্রদূতের পরবর্তী জীবনের সুস্থতা ও সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও উন্নতি কামনাসহ বাংলাদেশ-বাহরাইনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান এ.কে.এম. মহিউদ্দিন কায়েস এবং অন্যান্যদের মধ্যে বাহরাইনের অর্থমন্ত্রী শেখ সালমান বিন খলিফা আল খলিফাসহ ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।