পশ্চিমে ইয়েমেন, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত, পূর্বে আরব সাগর, উত্তরে ওমান উপসাগরের বুকে জন্মানো দেশ ওমান। যেখানে বাংলাদেশের অধিকাংশ শ্রমিকই কাজ করছেন। অনেকেই আছেন যারা ভবিষ্যতে দেশটিতে কাজ করতে যেতে চাইছেন। এক্ষেত্রে কিন্তু তাদের উচিত শুরুতেই ওমান ভিসার দামসহ আবেদন প্রক্রিয়া ও অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা। চলুন আজ সে বিষয় নিয়েই আলোচনা করা যাক।
বাংলাদেশী শ্রমিক কিংবা সাধারণ জনগণের জন্যে বর্তমান ওমানে বিভিন্ন ধরনের ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব ভিসার ধরণ যেমন ভিন্ন, তেমনই এর দামও ভিন্ন। চলুন ওমান ভিসার দাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
ওমানের বর্তমান স্টুডেন্ট ভিসার দাম ৮০,০০০ টাকা। বর্তমান টাকার রেট অনুযায়ী এই দামটুকু নির্ধারিত হয়েছে। যারা ওমানের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে চান তারা এই প্রাইজের ভেতরেই ওমান স্টুডেন্ট ভিসা কিনে নিতে পারবেন।
ওমানে যাদের পরিচিত ব্যাক্তি বা কোম্পানি আছে এবং এর মাধ্যমেই যারা ভিসা কিনে দেশটিতে যেতে চান তারা ওমান কোম্পানি ভিসার আন্ডারে ওমানে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়বে ১ লক্ষ ৭০ টাকা।
বর্তমানে ওমানের এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম অনেকটা বেশি। আপনি যদি এই ভিসা কিনতে চান তাহলে আপনাকে এর বর্তমান খরচ ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা পে করতে হবে। কাজের উদ্দেশ্যে ওমানে যেতে চাইলেই মূলত আপনাকে এই ভিসা কিনতে হবে এবং এর মাধ্যমে ওমানে যেতে হবে।
আপনি যদি ওমানে শুধুমাত্র ঘুরতে যেতে চান তাও বেশ কম সময়ের জন্যে সেক্ষেত্রে আপনাকে গুনতে হবে মাত্র ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। যা প্রায় স্টুডেন্ট ভিসার দামের কিছুটা কাছাকাছি।
মোটামুটি ওমানে যেতে আপনাকে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যেই সবকিছু ম্যানেজ করতে হবে। এর উপরে বাড়তি কোনো টাকার দরকার পড়বে না। আর যদি কোনো ভিসার দাম ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকারও বেশি পড়ে তাহলে বুঝতে হবে তা বেশ হাত বদল হয়েছে কিংবা অন্য কোনো ঘাবলা আছে।
ওমানের ভিসার দামের সাথে যদি আপনি নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে ওমান ভিসা আবেদন কিভাবে করতে হয় বা আবেদন প্রক্রিয়াটি কি সে-সম্পর্কে। চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
শুরুতে আপনাকে বয়স ঠিক রাখতে হবে। মূলত ২২ বছরের নিচে হলে নিজস্ব ভিসা নিয়ে ওমানে যেতে পারবেন না।
বাংলাদেশ থেকে যে ড্রাইভিং লাইসেন্স সেটি নিতে পারেন।
একটি স্বচ্ছ পাসপোর্ট রেডি করে নিন।
এবারে নিকটস্থ কম্পিউটার দোকানে গিয়ে পছন্দের ভিসা সিলেক্ট করে আবেদন করে নিন।
একটি ইন্টারভিউতে কল পেলে তাতে কৃতকার্য হলে আপনাকে যাবতীয় সকল ফি পরিশোধ করতে হবে।
এরপর ভিসা অ্যাপ্লিকেশনটি ট্র্যাক করা হবে এবং একই সময়ে আপনাকে নিজের মেডিকেল টেস্টও করিয়ে নিতে হবে।
মেডিকেল টেস্টে যদি রেজাল্ট পজেটিভ আসে তাহলে ম্যানপাওয়ার ফিংগার দিবেন এবং নিজের ভিসা রিলেটেড ডকুমেন্টস বুঝে নিবেন।
ওমান ভিসার দামসহ আবেদন প্রক্রিয়া ও এবং অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরে কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। আর যারা দেশটিতে কাজ করতে যেতে চান তারা দেশটির যেকোনো প্রশাসনিক অঞ্চল অর্থ্যাৎ মাছকাট, নিঝুয়া, সোহার, দুখুম, সালালাহ, ইব্রি, রুস্তাক এবং হাইমাের মতো যেকোনো পছন্দের অঞ্চলে কাজ করার সুযোগ লুফে নিতে পারেন।
ওমান ভিসার দাম | ওমান ভিসা আবেদন | ওমান ভিসা সম্পর্কিত তথ্য