কথাগুলো প্রিন্স মাহমুদ কে বলেছিলেন শেখ ইশতিয়াক, মকসুদ জামিল মিন্টু। যারা ততদিনে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি তে প্রতিষ্ঠিত। সেই থেকে রিমিক্স এলবাম বাদ দিয়ে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছিলেন লিজেন্ড প্রিন্স মাহমুদ।
প্রিন্স মাহমুদ নতুন কুঁড়ি তে ছিলেন। স্কুল জীবনেই দ্য ব্লুজ নামক ব্যান্ডের সাথে জড়িয়েছিলেন। বাড়ির অন্য সবাই রাজি না থাকলেও, তার বোনেরা আগ্রহ দেখিয়েছিলেন গানের ব্যাপারে।
ব্যান্ড মিউজিকের বহুল জনপ্রিয়তায় প্রিন্স মাহমুদের যে অবদান সেটা সম্ভবত আর কারো নেই।
যাদের কে নিয়ে প্রিন্স মাহমুদ বেশি কাজ করেছেন
আর্কের বাইরে হাসানকে জনপ্রিয় করেছেন প্রিন্স মাহমুদই। হাসানের বহুল প্রশংসিত গানগুলো যেগুলো প্রিন্স মাহমুদের সৃষ্টি-
এত কষ্ট কেন ভালবাসায়,
এতদিন পরে প্রশ্ন জাগে,
যে যায় ফিরে আসেনা,
ভালবাসা ও অপরাধ,
শাফিন আহমেদের সারাদেশ কাপানো
আজকের পৃথিবীটা অনেক সুন্দর
দিন ছিল সূর্যে ভরা
আজকের জোছনাটা আরও সুন্দর
সন্ধ্যাটা আগুন লাগা, বাংলা মিউজিকে জন্মদিন নিয়ে এরচেয়ে ভাল বা জনপ্রিয় গান কি আর আছে?
প্রতি রাতই নির্ঘুম রাত
খালিদের বহুল জনপ্রিয়::
কোন কারনেই ফেরানো গেলনা তাঁকে
যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে,
আবার দেখা হবে
আকাশনীলা তুমি বল কিভাবে
যদি হিমালয় হয়ে দূঃখ আসে
হয়নি যাবার বেলা
জেমসের
মা
বাবা
বাংলাদেশ
ভূল
পাপী
ফুল নেবে না অশ্রু নেবে
এক নদী যমুনা
তুমি জানলেনা
জানালা ভরা আকাশ
সমাধি
আইয়ুব বাচ্চুর
আমি বারো মাস তোমায় ভালবাসি,
একা একা কি থাকা যায়,
বেলা শেষে ফিরে এসে পাইনি তোমায়,
মৃত্যুকাব্য,
আজ কবিতা অন্য কারও,
পালাতে চাই,
আজ থেকে আর বলবো না,
রুমির
জোনাকি গায় ফিস ফিস
মাটি হব মাটি
দুনিয়া তোর সঙ্গেতে নাই
জুয়েলের ‘তুমি বোঝোনি বন্ধুত্ব কি?
টিপুর চাঁদ জাগা এক রাতে
এছাড়াও সলো শিল্পীদের সাথেও কাজ করেছেন। ছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ বা তপন চৌধুরী রাই। কাজ করেছেন একাধিক চলচ্চিত্রেও।
প্রিন্স মাহমুদ যখন ই কাউকে নিয়ে কোনো কাজ করেছেন তখন ই সে সঙ্গীত জগতে নিজের জনপ্রিয়তা কে আরো এগিয়ে নিয়েছেন আর নতুন হলে শ্রোতা হৃদয়ে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।
সেই পালকে সর্বশেষ সংযোজন রিয়াদ। প্রিন্স মাহমুদ
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের ঈদ-উল-আযহায় মুক্তিপ্রাপ্ত প্রিয়তমা মুভিতে একটি গানেই সঙ্গীত পরিচালনায় কাজ করেছেন। গানের শিরোনাম ঈশ্বর(ঈশ্বর কি তোমার আমার মিলন লিখতে পারতো না)। যে গানে শিল্পী হিসেবে তিনি নিয়েছেন একেবারেই নতুন শিল্পী রিয়াদ কে। যাকে হয়তো শ্রোতারা আগে থেকে চিনতো না। অথচ এই এক গান রিয়াদ তো অবশ্যই, স্বয়ং প্রিয়তমা মুভির ই হাইপ বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুন। গানটি একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। প্রিন্স মাহমুদ রা এমন ই। কারো ক্যারিয়ারে সোনার পালক হিসেবে আসলেই যতটা প্রচার পাওয়া উচিত ততটা হয়তো পান না। পেলেও সবটা সময় হয়তো সেটা যথাযথ হয়ে ওঠে না।
রিয়াদ কে লাইম লাইটে আনতে গান তো করেছেন ই, সাথে বিভিন্ন শো তে গিয়ে রিয়াদের ব্রান্ডিং টাও করে দিয়েছেন। ট্রু মিউজিশিয়ান হয়তো প্রিন্স মাহমুদের মতই হয়, প্রিন্স মাহমুদ ই হয়।
বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিকের ইতিহাস লেখা হলে সেখানে জনপ্রিয় ক্যাটাগরিতে ‘প্রিন্স মাহমুদের যুগ’ নামে একটা অধ্যায় অবশ্যই থাকবে! বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের এই অঘোষিত যুবরাজের এই গানগুলি অনন্য সংযোজন হিসেবে টিকে থাকবে বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের ইতিহাসের পাতায় এবং ব্যান্ড মিউজিক প্রেমীদের হৃদয়ে!