শুক্রবার (২৩ জুন) থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, থাইল্যান্ডের সামুত প্রাকান প্রদেশ থেকে সোংখলা প্রদেশ হয়ে একদল অবৈধ অভিবাসীকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে তথ্য পায় পুলিশ। এই তথ্যের ভিত্তিতেই ব্যাং ক্লাম জেলায় পুলিশ পাঁচটি গাড়ি আটকায় এবং ১৯ বাংলাদেশিসহ ২৩ জনকে আটক করে। সূত্র: ঢাকা পোস্ট
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ইমিগ্রেশন পুলিশ বাংলাদেশি অভিবাসীদের পাঁচটি গাড়িকে ধাওয়া করে এবং রাত্তাফুম ও ব্যাং ক্লাম জেলার মধ্যবর্তী এশিয়ান হাইওয়ের একটি স্থানে তাদের থামাতে সক্ষম হয়।
আটককৃত থাই নাগরিকদের চারজনই গাড়ি চালক। তাদের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন পুরুষ। তবে গাড়িচালক পঞ্চম ব্যক্তি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এছাড়া ওই পাঁচটি গাড়িতে বাংলাদেশ থেকে আসা ১৯ জন অভিবাসীকে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ওই চার চালক জানিয়েছে, থাই মুদ্রায় মাথাপিছু ২৫০০ বাথে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সামুত প্রাকান থেকে সোংখলা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য সোমচাই নামক এক ব্যক্তি তাদেরকে ভাড়া করেছিল।
অন্যদিকে আটককৃত বাংলাদেশি অভিবাসীরা বলেছেন, তারা প্রথমে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে কম্বোডিয়ায় পৌঁছান এবং সেখান থেকে বুধবার সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেন। পরে তাদেরকে সামুত প্রাকানে নিয়ে যাওয়া হয়। মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দালালরা তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই বাংলাদেশিরা।
আটককৃত থাই গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশকারী বিদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে, আটককৃত ওই বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যাং ক্লাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।