সংযুক্ত আরব আমিরাতে শান্তি পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশি বংশদ্ভূত ডা. মোহাম্মদ হাসিম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে মেরিনায় দ্যা ওয়েস্টিন মিনা হোটেলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাকে এ শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ সময় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি অব ডক্টর অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওপর ডক্টরেট ডিগ্রিও প্রদান করা হয়। এর আগে ২০০৯ সালে রিয়েল এস্টেট এর ওপর দুবাইয়ের এমআরই একাডেমী থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেন মোহাম্মদ হাসিম।
বরাবরের মতো এবারও আমিরাতে ‘‘১৩তম আন্তর্জাতিক পিস অ্যাওয়ার্ড এবং ইউনাইটেড স্টেট গ্লোবাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মহামান্য শেখ হামদান বিন আহমেদ আল মাকতুম, মহামান্য শেখ সোহাইল বিন হাসের আল মাকতুম, শেখা লামিস বিনত হামাদ বিন আলী আল মুয়াল্লাসহ বিভিন্ন অর্থনীতিবীদগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফররত ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও নেপালের কূটনৈতিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
আমিরাতে বসবাসরত ব্যবসায়ী, শিল্পপতিসহ বিভিন্ন পেশায় খ্যাতি অর্জনকারী বিশ্বের ২৪টি দেশের নাগরিককে এ সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এদিকে বাংলাদেশের সিআইপি, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি ডা. মোহাম্মদ হাসিম দীর্ঘ প্রায় তিন যুগ ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি আমিরাতের ইতিহাসে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
এ বিষয়ে ডা. মোহাম্মদ হাসিম বলেন, ‘‘আমি নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে সফল হয়েছি। আমার এ সম্মান বাংলাদেশের গর্ব। আমি আমার দেশকে বিশ্ব দরবারে আলোকিত করতে পেরে অত্যান্ত আনন্দিত। আমার এই সাফল্য বাংলাদেশের প্রবাসীদের মধ্যে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমার সৎ, নিষ্ঠা ও আদর্শ প্রবাসীদের মধ্যে লালন করবে বলেও আমি আশাবাদী।’’
ডা. মোহাম্মদ হাসিম মৌলভীবাজারে একটি তালুকদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তার লালিত চিন্তা-চেতনাকে ধারণ করে দীর্ঘ দিন যাবৎ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। নিজের দক্ষতা ও মেধাকে কাজে খাটিয়ে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। স্বল্প সময়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করে আমিরাতে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হন। ধীরে ধীরে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে শুরু করেন ডা. মোহাম্মদ হাসিম। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পাশাপাশি দুবাইয়ে দেরা নাখিলে অবস্থিত ফনিক্স হোটেল (আবাসিক) ব্যবসায় ব্যাপক সফলতা লাভ করেন।
এভাবে নিজেকে আমিরাতের একজন সার্থক ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার স্নেহধন্য ছেলে ফরহাদ হাসিম পড়াশোনা শেষ করে বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। বর্তমানে বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নিজের জায়গাও তৈরি করে নিয়েছেন ফরহাদ হাসিম। বাবার ব্যবসার সার্থক সহযোগী হিসেবে ফরহাদ হাসিম এইচএমসি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস পুরস্কার পান।
অপরদিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৯ সালে রেমিটেন্সের ওপর (এ) ক্যাটাগরির বিশেষ সম্মাননা কার্ড অর্জন করেন। ২০১৮ সালেও রেমিটেন্সের ওপর দেশের এনআরবি সিআইপি হিসেবে সম্মানের চতুর্থ স্থান দখল করেন মোহাম্মদ হাসিম।
দানবীর মোহাম্মদ হাসিম দেশের অসহায়, গরিব ও সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবতার হাত বাড়িয়েছেন প্রতিনিয়ত। প্রতি বছর প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার দুঃস্থ, অসহায় ও গরিব মানুষকে সহযোগিতা করে আসছেন তিনি। তার এলাকায় আল হাসিম ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন।