কুমিল্লার দেবিদ্বারে বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুল ছাত্রীসহ দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ জুয়েল(২২) ও শাহরিয়ার আফজাল অপূর্ব(২০) নামে দুই ধর্ষককে গ্রেফতার পূর্বক মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা কোর্ট হাজতে চালান করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের পূর্বক ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
বাদী তার মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করেন, দেবিদ্বার পৌর এলাকার বড়আলমপুর গ্রামের খাঁ বাড়ির মোঃ সোলেমানের পুত্র অটোরিক্সা চালক মোঃ জুয়েল (২২) সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী (১৬)’র সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত শনিবার (৭ জানুয়ারী) রাত ১০ টায় জুয়েল বিয়ের প্রলোভনে ওই স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে বড়আলমপুর গ্রামের তার বন্ধু মোঃ বাবু খাঁনের বাড়ির একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় ১০ জানুয়ারী মঙ্গলবার ভিক্টিমের বাবা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক জুয়েলকে আটক করেন।
অপর ঘটনার মামলার বাদী জানান, দেবিদ্বার উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের হালিম ডিলারের বাড়ির আওলাদ হোসেনের পুত্র শাহরিয়ার আফজাল অপূর্ব (২০)’র সাথে তার মেয়ের (১৭) ফেইসবুক সূত্রে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৭ জানুয়ারী ঢাকা জেলার সাভার থানার নবীনগর বাসষ্ট্যাশন থেকে বিয়ের প্রলোভনে তার মেয়েকে ডেকে এনে মানিকগঞ্জ সদর বাসষ্ট্যানের পাশে ‘রংধনু আবাসিক হোটেলে রাতভর ধর্ষণ করে।
এরপর গত রোববার (৮ জানুয়ারী) রাত ১১টায় দেবিদ্বার উপজেলার সংচাইল গ্রামের আজাদ মেম্বার’র বাড়ির একটি কক্ষে রেখে আবারো ধর্ষণ করে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন জানতে পেরে গত সোমবার (৯ জানুয়ারী) রাত ১ টায় ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে ধর্ষকসহ তার মেয়েকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিক্টিমের মা’ বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, উভয় ঘটনায় মামলা হয়েছে, মামলায় অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে চালান করা হয়েছে। ভিক্টিম দুই কিশোরীকেও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।