আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চারটি ভিত্তির কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হলো স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্ন্যান্স ও স্মার্ট সোসাইটি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার আগামীর বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যেখানে প্রতিটি জনশক্তি স্মার্ট হবে। তারা প্রতিটি কাজ অনলাইনে করতে শিখবে, ইকোনমি হবে ই-ইকোনমি, যাতে সম্পূর্ণ অর্থ ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল ডিভাইসে করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মযোগ্যতা—সব কিছুই আমরা ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে করব। ই-এডুকেশন, ই-হেলথসহ সব কিছুতেই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা হবে। আমি আশা করি, ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা তা করতে সক্ষম হব এবং সেটা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীরাও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার কথা জানান। তাঁরা জানান, শেখ হাসিনাই দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন। সামনের স্মার্ট বাংলাদেশও শেখ হাসিনার সরকার করতে পারবে।
সম্মেলনে যোগ দিতে খুলনা থেকে ‘ডিজিটাল নৌকা’ নিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের কর্মী মো. মিনারুল ইসলাম। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২০০৯ সালে শেখ হাসিনা আমাদের বলেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ দেবেন। আজ সত্যিই বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। নেত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছেন, সেটি শুধু নেত্রীর নেতৃত্বেই সম্ভব। জনগণ আবারও নৌকায় ভরসা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’