প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় যার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এর ওপর ভর করেই প্রকৃতি তার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কিন্তু বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ইউনিয়নের প্রভাবশালী এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে সেই পাহাড়গুলোকে সাবাড় করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় সচেতন মহল।
সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঘুমধুম ইউনিয়নে আনুমানিক ছোট-বড় মিলিয়ে ২ শতাধিক পাহাড় রয়েছে। এই পাহাড়গুলোতেও পড়েছে ভূমি খেকোদের থাবা।
সকাল থেকে রাত সমান তালে চলে পাহাড় কাটার কাজ। তবে বেশিরভাগ সময়ে নিঝুম রাতে চলে বনাঞ্চলের আবৃতে ঘেরা পাহাড় কাটার ধুম। বিগত কয়েক বছরে এ অঞ্চলের প্রায় অর্ধেকের চেয়ে বেশি পাহাড় ও টিলা কেটে সমতল করেছে ভূমিদস্যুরা। পুরো ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় পাহাড় কাটা, মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের মহা উৎসব চলছে ঘুমধুমে।
এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ থাকলেও প্রভাবশালী হওয়াতে ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও পারছেন না। প্রভাবশালী মহলটি ক্ষমতার দাপট ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাতের আধাঁরে মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলছে পাহাড়। ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। কয়েক বছরে পাহাড়ের মাটি কাটতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে বেশ কয়েক জন শ্রমীকের মৃত্যু হয়েছে।
পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝিরি ও খালের পয়েন্টে একাধিক মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে তারা। ক্ষমতার দাপটে সিন্ডিকেট মাধ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে পরিবেশ ধ্বংস কারি এক শ্রেণির পাহাড় খেকো। বালু খেকো সিন্ডিকেটেরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দশের অধিক এনজিও সংস্থার কাছে বালু বিক্রয় করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখলাখ টাকা। মাটি ব্যবহার হচ্ছে ব্রিকস ফিল্ডে।
এ ব্যাপারে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবুল কালামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইট ভাবাটায় ব্যবহার করার জন্য খাল ও পাহাড় থেকে অল্প বালু উত্তোলন ও পাহাড় কেটে মাটি জমা করছি ।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর সহ-পরিচালক মোঃ ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পরিবেশ নষ্ট কারিদের বিরুদ্ধে প্রতি বছর মামলা হচ্ছে। এ বছরও অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার সাথেসাথে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালাই।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, পাহাড় কাটা বালু উত্তোলন দুটো আইনত অবৈধ। এবং পাহাড় কাটা, মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন-প্রতিটা বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।