বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জিন্নাতুল ইসলাম প্রামাণিক (৫৩) নামের এক শিক্ষকক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরের চকসূত্রাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দেন। পরে রাত ১২টার আগে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার পর ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী প্রায় চার বছর আগে সহযোগী অধ্যাপক জিন্নাতুল ইসলাম প্রামাণিকের কাছে প্রাইভেট পড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুযোগে ছাত্রীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন ওই শিক্ষক।
পরে তিনি ওইসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বেশ কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ গত ১০ অক্টোবর দুপুরে রানার্স সিটি হাউজিংয়ের বাসায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
শিক্ষক জিন্নাতুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে গত ৩১ অক্টোবর বিকেলে শহরের জলেশ্বরীতলার একটি হোটেলে ডেকে নেন। সেখানে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হওয়া ও বিয়ের দাবি করলে শিক্ষক তাকে সন্তান নষ্ট করতে হুমকি দেন ও মারধর করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জেবুন্নেছা জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ছাড়া আসামি সহযোগী অধ্যাপক জিন্নাতুল ইসলাম প্রামাণিককে আদালতে পাঠানো হবে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।