যশোরের শার্শার নাভারণে বেকারীতে অস্বাস্থ্য ও নোংড়া পরিবেশ সহ নানা হয়রানি মুলক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে মালিক কাওছার আলী একতা বেকারির মালিক নোংড়া ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারির খাদ্য পণ্য তৈরি ও সরবরাহ করলেও খোঁজ রাখেনা স্থানীয় ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে শার্শার নাভারণ রেলস্টেশনের পাশে অবস্থিত একতা বেকারীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেকারির ভিতরে চারিদিকে নোংড়া স্যাতস্যেতে জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাসি খাবারে তৈরিকৃত রুটি, টোস, কেক সহ বিভিন্ন পণ্য। ময়লা দূর্গন্ধে খাবারের চারিদেক মাছি ভনভন করছে। খাবারের পাশেই শুয়ে আছেন বেকারীর এক কারিগর।
এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা ছবি নিতে চাইলে বেকারির মালিক কাওছার আলী সহ কর্মরত নারী-পুরুষ কর্মচারীরা বাধা সৃষ্টি করে।
স্থানীয়ভাবে এই একতা বেকারির খাদ্য পণ্য ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, এখানে তৈরিকৃত রুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুট গুলো খেতে বলিযুক্ত এবং ময়লার নমুনা পাওয়া যায়। যা ছোট বড় সকলের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাছাড়া মাঝে মাঝে বাসি খামির বা নষ্ট বিস্কুট ও অন্যান্য পণ্য দিয়ে টাটকা খাবার বানিয়ে বিক্রি করেন এই একতা বেকারির মালিক।
স্থানীয়রা আরো বলেন, অবৈধভাবে গড়ে উঠা এই বেকারি চালু রাখতে সাংবাদিক ও উপর মহলে বড় অংকের মাসোহারা দিয়ে একযুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই একতা বেকারি চালিয়ে আসছেন। শুধু তাই নয়। অবৈধভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এই বেকারি চালিয়ে বেকারির মালিক ইতোমধ্যে গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি। যা দেখে স্থানীয়দের মনে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।
অবৈধভাবে বেকারি চালু রাখা এবং এখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তার এই পণ্য তৈরির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বেকারি মালিক কাওছার আলী বলেন, এখানকার স্থানীয় সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করা আছে আমার। লেখালেখি করে কিছুই হবে না। আপনারা যা পারেন করে নেন, যা লিখবেন লেখেন। জরিমানা হলে হোক টাকা দেওয়ার অভ্যাস আছে।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, একতা বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি হওয়ার বিষয়ে জানতে পেরেছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।