ওমরা হজের ভিসা ২০২৪ | ওমরা ভিসা করার নিয়ম | ওমরা ভিসার খরচ
যাদের সামনে ওমরা করার ইচ্ছে আছে আমাদের আজকের এই লেখাটি কেবল তাদের জন্য। ওমরা হজ করতে ইচ্ছুক ব্যাক্তিদের জন্যে এবারে সৌদি আরব কোন কোন সুবিধার ব্যবস্থা করেছে, ওমরা ভিসা করার নিয়ম, ওমরাহ ভিসা ফি কত, ওমরা ভিসা প্রসেসিং সময় কতটুকু হতে পারে এবং ওমরাহ ভিসার মেয়াদ কত দিন থাকবে সবকিছু তুলে ধরা হবে আমাদের আজকের এই লেখায়। সুতরাং আমাদের সাথেই থাকুন।
সৌদি আরবের পবিত্র শহর মক্কা এবং পাশাপাশি মদিনা শহরে ভ্রমণ করা ও প্রার্থনা করার পার্মিশন সম্বলিত ভিসাকে সাধারণত ওমরা হজের ভিসা বলা হয়। এই ধরণের ভিসা সাধারণত সৌদি আরবের ভিসা কতৃপক্ষ নিজেই প্রদান করে থাকে।
বলে রাখা ভালো রমজান মাসে এই ধরণের ভিসার চাহিদা বেড়ে যায়। আপনি কি জানেন, বিশ্বের মোট ৪ টি দেশের নাগরিকদের ওমরাহ করতে কোনো ধরণের ওমরাহ ভিসা লাগে? হ্যাঁ…মূলত নিম্নোক্ত দেশের নাগরিকত্ব থাকলে আপনি কোনো ভিসা ছাড়াই ওমরাহ হজ করার সুযোগ পাবেন:
যারা এজেন্সির দ্বারস্থ হবেন তাদের ওমরা ভিসা করার নিয়ম নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে হবে না। তবে যারা বাড়তি টাকা না খসিয়ে সরাসরি নিজেই ওমরা ভিসার জন্য আবেদন করবেন কিংবা নিজেই বিষয়টা জানতে চাচ্ছেন তাদের নিম্নোক্ত স্টেপগুলি ফলো করতে পারেন:
বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছে এমন কোনো ট্রাভেল এজেন্সির সন্ধান করুন। এক্ষেত্রে গুগলে সার্চ করে লোকেশন বেইজড এজেন্সি খুঁজে নিতে পারেন।
সাধারণত একেক ট্রাভেল এজেন্সির সার্ভিস একেকধরণের হয়ে থাকে৷ পাশাপাশি খরচের পরিমাণেও ভিন্নতা থাকে। এক্ষেত্রে আগে রিভিউ জেনে, কথাবার্তা বলে তবেই সামনে আগানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
একটি ভিসা তৈরিতে যেসমস্ত ডকুমেন্টসের প্রয়োজন পড়ে সকল ডকুমেন্টস রেডি করে নিন। যারা বুঝতে পারছেন না একটি ওমরা হজের ভিসা পেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে তারা নিচের পয়েন্টগুলিতে ফোকাস করতে পারেন:
সকল ডকুমেন্টস জোগাড় করার পর আপনাকে ওমরা ভিসা ২০২৪ এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে ওমরাহ অ্যাপ। মনে রাখবেন ওমরা হজের ক্ষেত্রে যেকোনো প্রয়োজনে দরকার পড়ে এমন ২ টি অ্যাপ আপনাকে ডাউনলোড করে রাখতে হবে। এগুলি হলো:
তাওয়াক্কলনা অ্যাপ: সৌদি আরবে প্রবেশ করার পর আপনাকে এই তাওয়াক্কলনায অ্যাপ ডাউনলোড করতেই হবে। এখানে আপনি কোন হোটেল বুক করবেন, কোনদিকে মসজিদ সবকিছুই ডিটেইলস আকারে দেওয়া থাকবে।
Etmarna অ্যাপ: এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনাকে হজ করার অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি পেলে তবেই আপনি পরবর্তীতে তাওয়াক্কলনা অ্যাপের সাথে সংযুক্ত হতে পারবেন।
ওমরা ভিসা প্রসেসিং ফি সাধারণত ১৬০০০/১৭০০০ টাকার মতো হয়ে থাকে। এই এমাউন্টটি নির্ভর করে এজেন্সির উপর। অন্যদিকে ওমরা হজের ভিসা পেতে খরচ করতে হবে ৭৭,০০০ টাকারও বেশি। সবমিলিয়ে হোটেল, ট্রান্সপোর্ট খরচসহ অন্যান্য খরচ বাবদ ২ লক্ষ টাকা থাকলেই একজনের ওমরা ট্যুর ঝামেলা ছাড়াই কমপ্লিট করা যাবে।
ওমরা ভিসা প্রসেসিং সময় হিসাবে সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। যদিও এই বিষয়টি নির্ভর করবে আপনি কোন এজেন্সির কাছ থেকে সার্ভিস নিচ্ছেন তার উপর।
ওমরাহ ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৩০ দিনের মতো হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশীদের জন্যে এই মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯০ দিন। আর যারা রমজান মাসে যাবেন তাদের রমজান মাস শেষ হলেই বেরিয়ে পড়তে হবে।
