ওয়ার্ক পারমিট চলাকালীন স্টুডেন্টরা কি টাকা জমাতে পারে?

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩

ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরা যখন পড়াশোনা করে তখন তারা পার্টটাইম চাকরি করে থাকে। সপ্তাহে বিশ ঘণ্টা কাজ করার অনুমতি থাকে। যদিও বিশ ঘণ্টার বেশি লিগ্যালি কাজ করার অনুমতি সম্ভাবত ডিসেম্বর পর্যন্ত আছে। কেউ কেউ এর বাইরেও আরো কাজ করে সেটা অফ সিনে। মানে সরকার জানবে না। এরকম করা যায় কোনো সমস্যা হয় না। মোট কথা স্টুডেন্টরা একটু বেশি ইনকাম করতে চায় যেন তাদের খরচের বেশিরভাগটা মেটাতে পারে এসব ইনকামের টাকা থেকে। একটা পার্টটাইম কাজ করে থাকা ও খাওয়ার খরচ ওঠানো যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। আর যারা কষ্ট করে দুইটা জব করে তারা কিন্তু থাকা+খাওয়া+টিউশন ফিয়েরও কিছুটা ম্যানেজ করতে পারে।

স্টুডেন্টরা যখন পড়াশোনা শেষ করে তখন তারা তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিট পায়। তখন কিন্তু তাদের টিউশন ফিস পরিশোধের চিন্তা থাকে না। শুধু থাকা-খাওয়া ও অন্যান্য টুকিটাকি খরচ থাকতে পারে। ওয়ার্ক পারমিটের এই তিন বছরে স্টুডেন্টরা ফুল টাইম কাজ করার অনুমতি থাকে। অনেকেই এসময় একদম চুটিয়ে কাজ করে নেন। কারণ যা ইনকাম হবে তা দিয়ে বড়ো মাপের টিউশন ফিসটা দিতে হচ্ছে না। ফলে তারা ইচ্ছে করলেই কিছুটা টাকা ইনকামের টাকা থেকে সঞ্চয় করতে পারে। কিন্তু এটা নির্ভর করবে ঐ স্টুডেন্টের ওপর। অনেক স্টুডেন্টের আগের কিছু ঋণ থাকে সেসব শোধ করতে হয়।

যেমন একটা উদাহরণ দিচ্ছি। আমার বাসার ভাড়াটে একজন বাঙালি স্টুডেন্টের নাম তমাল। সে এখন ওয়ার্ক পারমিটে আছে। সে দুইটা পিজ্জা স্টোরের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি দেখে অত্যন্ত অভিভূত হই যে এসব ছেলেগুলো দ্রুত growing হচ্ছে। তমাল কাজ করছে সপ্তাহের সাত দিনই।
গতকাল একটা দরকারে তমাল আমাকে ফোন দিয়ে বলে, “আন্টি আংকেল তো ইমেল দিয়েছেন একটা মিটিংয়ে attend করার জন্য। কিন্তু আমি তো সপ্তাহের সাত দিনই কাজ করি। আমার তো সময় নেই’। আমি হেসে বললাম, তোমার তো অনেক টাকা জমা হয়ে যাচ্ছে। সে বলল, “না আন্টি। অত জমানো সম্ভব না। আগের কিছু লোন ছিল সেগুলো দিচ্ছি। তাছাড়া এক বছর কাজের পর PR এর জন্য আবেদন করব সেসব ব্যাপারে lawyer এর জন্য যে খরচ সেগুলোও দিতে হচ্ছে।”

আবার আমার কলিগ সেও একজন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট। সে পড়াশোনা শেষ করে এক বছর কাজও করে ফেলেছে। সে ভালো টাকা ইনকাম করছে। জমাচ্ছেও কিছু। আমি বললাম এত টাকা কী করবা? সে বলল, একটা বাড়ি কিনব। অথচ তার বয়স কিন্তু ২৩ বছর। এত ছোট বয়সে নিজের টাকা জমিয়ে যে বাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখে তার ভবিষ্যত অনেকটাই আলোকিত। আমার কলিগ সে PR এর জন্য আবেদনের প্রসেসিং এ আছে। আবেদন করতে IELTS দিতে হয়। বেশি পয়েন্ট পেলে PR এর জন্য ভালো হয়। সে IELTS দিয়েছে এবং overall পেয়েছে ৮.

যাই হোক দুই বছর কোর্স কম্পিলিট করে তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিটে বেশ কিছুটা আয়-ইনকাম করা যায়। ভালো চাকরি ও আওয়ার বেশি হলে PR এর জন্য পয়েন্টস পেতে সুবিধা হয়।

আপনাদের সবার মঙ্গল হোক।

কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ