আদব আখলাক (পর্ব: ০২)

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩
আদব আখলাক

আপনি কথা বলছেন, অথচ আপনার সঙ্গী মোবাইল টিপছে, ভালোভাবে কথা শুনছে না; এটি নিঃসন্দেহে খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার।

.

রাসুলের নির্দেশ হলো, কারও সাথে কথা বলার সময় পুরোপুরি তার দিকে ফিরে কথা বলা। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যখন তুমি কারও মুখোমুখি হবে, তখন পুরোপুরি তার দিকেই মুখ করে রাখবে। আর যখন তুমি কারও থেকে পেছনে ফিরে যাবে, তখনও পুরোপুরিই সরে যাবে।’’ [ইমাম বুখারি, আল-আদাবুল মুফরাদ: ২৫৪; হাদিসটি সহিহ]

নবিজি অত্যন্ত ব্যস্ত জীবন কাটিয়েছেন, প্রচুর গ্যাদারিং ফেইস করেছেন, বিভিন্ন মানুষের সমস্যার কথা শুনেছেন এবং সমাধান বাতলে দিয়েছেন। এতকিছু করার সময়েও এই শিষ্টাচারের উপর অটল ছিলেন। কারও সাথে কথা বলার সময় এদিক-ওদিক তাকাতেন না। হাদিসে এমনটিই এসেছে যে, ‘‘তিনি যখন (কারও দিকে) দৃষ্টিপাত করতেন, তখন পুরোপুরিই করতেন।’’ [ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ: ৬৮৪; ইমাম বুখারি, আল-আদাবুল মুফরাদ: ১৩২৮; হাদিসটির সনদ হাসান]

.

সাহাবি আমর ইবনুল আস (রা.) নবিজির এই বিষয়টি ভালোভাবে খেয়াল করেছেন। তিনি নিজের পর্যবেক্ষণ শেয়ার করে বলেন, ‘‘সমাজের নিকৃষ্ট ব্যক্তির সাথেও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে মুখ রেখে (পূর্ণ মনোযোগের সাথে) কথা বলতেন। এর দ্বারা তিনি তাদের মনোতুষ্টি করতেন। তিনি আমার সাথেও এভাবে মুখ করে কথা বলতেন। এমনকি আমার মনে হতো, আমি সমাজের উত্তম মানুষ!’’ [ইমাম তিরমিযি, আশ-শামাইলুল মুহাম্মাদিয়া: ২৬৪; হাদিসটি সহিহ]

.

কথা বলার সময় এই আদব ও শিষ্টাচারের প্রতি লক্ষ রাখা উচিত। আমরা যখন কারও সাথে কথা বলবো, তখন তার দিকে ফিরে পুরোপুরি মনোযোগ দিয়ে কথা বলবো। আমরা নিজেরা যখন অন্যকে এই ইমাপর্ট্যান্স দেবো, তখন অন্যরাও আমাদের দেবে। অনেকে অহংকারবশত পুরোপুরি মুখ ফিরিয়ে কথা বলে না। এটি আরও জঘন্য বিষয়।

.

কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে, অধিক লোকের উপস্থিতিতে, জরুরি কোনো ইস্যুতে এই বিষয়টি মেনে চলা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে। সেটি ভিন্ন বিষয়। স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের এই আদবটি মেনে চলা কর্তব্য।

সূত্র নুসুস থেকে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ