অবশেষে দুবাইয়ে থাকা প্রবাসী পাচ্ছে প্রবাসীদের নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ। আমিরাতে থেকেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড পাবার এই আনন্দের তুলনা যেনো কোনো আনন্দের সাথেই যায় না।
এই প্রক্রিয়া সম্প্রতি শুরু হলেও ইতিমধ্যেই ৫০০ প্রবাসী স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করে ফেলেছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত স্মার্টকার্ড সংক্রান্ত নিরবিচ্ছিন্ন সেবা পেতে যেকোনো প্রবাসীকেই যোগাযোগ করতে হবে কনসুলেটে।
নির্দিষ্ট সুত্র থেকে জানা যায় সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৩ জুলাই দুবাইয়ে ইস্যুকৃত প্রায় ১০০ প্রবাসীর স্মার্টকার্ড প্রদান করা হবে। নির্বাচন কমিশনের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকাকালীন এই অনুষ্ঠানে চাইলে আপনিও উপস্থিত থাকতে পারবেন।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো যাদের কোনো স্মার্টকার্ড নেই তারাও আবেদন করতে পারবো এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। পাশাপাশি স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে যে সকল প্রবাসীর পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে।
যারা দুবাই থেকে স্মার্টকার্ড পেতে চান তাদের বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও চোখের আইরিস স্ক্যান করা হবে। সকলেই প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত স্মার্টকার্ড সংগ্রহ কিংবা আবেদন করার সুযোগ পাবে।
এদিকে প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ উদ্দীপনা দেখে বেশ খুশি কতৃপক্ষ। যার প্রমাণ প্রতিদিন আবেদনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি। এই সেবা পেয়ে প্রবাসীরাও সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে কনস্যুলেট কর্মকর্তাগণ এবং সম্পৃক্ত কর্মচারী ব্যাক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য গত জুনে আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মাধ্যমে স্মার্টকার্ড প্রদানের এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। যা ছিলো পুরোপুরি পরীক্ষামূলক। এদিকে ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, মালদ্বীপে থাকা ৫ হাজারেও বেশি প্রবাসী নাগরিক যুক্ত হয়েছে বাইরের দেশে থেকে স্মার্টকার্ড আবেদনের এই প্রক্রিয়াতে।
এদিকে ১৫টি দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সেবা শুরু হবে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ। তবে বেশি রেমিট্যান্স আসে এমন দেশগুলোকে সবার আগে এই প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ।
যাইহোক কারিগরি ও প্রশাসনিক সহযোগিতায় দূতাবাসে প্রয়োজনীয় সকল জিনিসি পাঠানো হয়। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট জনবলকে ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়াও যন্ত্রপাতি স্থাপন, নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা, স্থানীয় মোবাইল নম্বরে এসএমএস পাঠানোসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে সম্পাদন করা হয়।
আপনি কি ভাবছেন বিষয়টি নিয়ে? দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা অনুযায়ী, প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে এনআইডি তুলে দেওয়ার এই প্রক্রিয়া আপনাকে কতটুকু উপকৃত করবে? জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।