(১) রমজানে উমরা করা হজের সমান।
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘রামাদানে উমরা করা আমার সাথে হজ করার সমান।’’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১৮৬৩]
(২) রমজানের শ্রেষ্ঠ নিয়ামতগুলো:
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘রমজান মাস আগমন করলে জান্নাতের দরজাগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানগুলোকে শিকলবন্দী করা হয়। [ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ২৩৮৫]
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘‘রমজানের প্রথম দিনেই শয়তান এবং খারাপ জিনদের বেঁধে ফেলা হয়; জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, একটি দরজাও খোলা হয় না; জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না। একজন ঘোষক ঘোষণা দিতে থাকেন—হে কল্যাণের দিকে অগ্রসরমান ব্যক্তি! তুমি এগিয়ে চলো; হে মন্দের দিকে অগ্রসরমান ব্যক্তি! তুমি থেমে যাও।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৬৮২; হাদিসটি সহিহ]
(৩) নবিজি রমজানে অধিক আমল করতেন।
ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল। রমজানে তিনি আরো অধিক দানশীল হয়ে ওঠতেন, যখন জিবরিল (আ.) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসতেন। রমজানের প্রতি রাতেই জিবরিল তাঁর সাথে দেখা করতেন এবং তারা একে অপরকে কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রবহমান বাতাসের চেয়েও অধিক দানশীল ছিলেন। [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ০৬]
(৪) মহাগ্রন্থ কুরআন রমাজানে অবতীর্ণ হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘রমজান মাস—যাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, মানুষের হিদায়াত (পথনির্দেশ)-এর জন্য; হিদায়াতের স্পষ্ট নিদর্শন এবং (সত্য-মিথ্যার) পার্থক্যকারীরূপে। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে, সে যেন রোজা রাখে।’’ [সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫]
(৫) এই মাসটি বরকতময়।
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমাদের নিকট এসেছে রমজান , বরকতময় মাস।’’ [ইমাম নাসায়ি, আস-সুনান: ২১০৬; হাদিসটি সহিহ]
(৬) এই মাসেই আছে মহান কদরের রাত।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘লাইলাতুল কদর (কদরের রাত) হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।’’ [সুরা কদর, আয়াত: ০৩]
(৭) অনেক মানুষকে ক্ষমা করা হয় রামাদানে।
হাদিসে এসেছে, ‘‘(এ মাসে) আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়, আর প্রতি রাতেই এরূপ হতে থাকে।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৬৮২; হাদিসটি সহিহ]