নবিজিকে কবরের আজাব দেখানো হয়েছিলো, ফলে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি কখনও কবরের চেয়ে ভয়াবহ দৃশ্য দেখিনি।’’[১]
.
তিনি আরও বলেন, ‘‘তোমরা মৃতদেরকে দাফন করা বাদ দিয়ে দেবে, এ ভয় না থাকলে আমি আল্লাহর কাছে দু‘আ করতাম, যেন তিনি তোমাদেরকে কবরের কিছু আজাব শুনিয়ে দেন।’’[২]
.
হাদিসে এসেছে, যে মুমিন ব্যক্তি মুনকার-নাকিরের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিতে পারবে, তাকে কবরে জান্নাতের পোশাক পরিয়ে দেওয়া হবে, তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দেওয়া হবে, ফলে সে জান্নাতের সিগ্ধ হাওয়া ও সুগন্ধি পেতে থাকবে।[৩]
.
এগুলো দেখার পর সে বলবে, ‘‘হে আল্লাহ! দ্রুত কেয়ামত সংঘটিত করুন, যাতে আমি আমার পরিবার এবং সম্পদের দিকে ফিরে যেতে পারি।’’[৪]
.
আর কাফিরের জন্য কবরকে সংকীর্ণ করে দেওয়া হবে এবং সে তার জাহান্নামের স্থানটি দেখতে পাবে। ফলে ভয়ে আল্লাহ্কে বলবে, ‘‘হে রব! কিয়ামত সংঘটিত করবেন না।’’[৫]
.
এজন্য রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের আজাব এবং ফিতনা থেকে বারবার পানাহ চাইতেন। আমরা নবিজির ভাষায় এভাবে দু‘আ করতে পারি—
.
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ
.
[মোটামুটি উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নি আ‘উ-যুবিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি]
.
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই।[৬]