শিরোনাম:
বাংলাদেশে সস্তায় ট্রেন ভ্রমণ করার উপায়: কিভাবে টিকিট কাটবেন এবং কি কি করবেন  মাত্র ৫০-৫৫ হাজার টাকায় ৫ দিনের থাইল্যান্ড ট্যুর প্ল্যান  দেশে ফিরেও কোথাও ঠাঁই মেলেনি প্রবাসী তমিজ উদ্দিনের দেশে রেমিট্যান্স পাঠাবেন যেভাবে: বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রদানকারী দেশসমূহ জার্মানিতে DAAD MIDE Scholarships স্কলারশিপে থাকছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা  জাপানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের প্রবেশে প্রধান প্রতিবন্ধকতা বিদেশে গাড়ি কেনার নিয়ম: বিদেশে গাড়ি কেনার ফুল গাইডলাইন  ১০ জন বিখ্যাত বাঙালি কবির নাম কী কী: বাংলাদেশের সেরা ১০ কবি চাকরি বা ইনভেস্টমেন্টে সরাসরি গ্রিন কার্ড! জেনে নিন EB ভিসার খুঁটিনাটি স্কিলড ওয়ার্কার ভিসায় ইউরোপে যাওয়ার সুযোগ ও স্থায়ী হওয়ার উপায়

আইয়ামে বীজের রোজার ফজিলত

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২
আইয়ামে বীজ কি

আইয়ামে বীজের রোজার ফজিলত প্রতি মাসে ৩ দিন বা আইয়ামে বীজের রোজা রাখলে তাতে সারা মাস রোজা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে। নিয়মিত ভাবে আইয়ামে বীজের ৩ দিন রোজা রাখা হচ্ছে সারা জীবন রোজা রাখার সমতূল্য। কেননা যে কোনো নেক আমল আল্লাহ তায়ালা ১০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকেন।

আইয়ামে বিজের রোজা রাখার ফজিলত বর্ণনায় হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিমে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোজা পালন, সারা বছর রোজা পালনের সমান। 

ইসলাম এক পূর্ণাঙ্গ, শাশ্বত এবং বিজ্ঞানসম্মত জীবনব্যবস্থার নাম। এর প্রতিটি বিধানের রয়েছে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। মানবতার সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সা: ছিলেন আল্লাহ প্রেরিত রাসূল। তাঁর যুগে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি প্রসার লাভও করেনি। তবুও বর্তমানে বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগে তাঁর জীবনের প্রতিটি কর্ম ও নির্দেশনা রহস্যময় এক বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। বিভিন্ন যুগের বৈজ্ঞানিকেরা অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিতে তাঁর নির্দেশিত প্রতিটি কাজ, চিন্তাভাবনা, নিয়মনীতি, আইনকানুনের প্রতি মনোনিবেশ করেছেন সেই মহারহস্য উদঘাটন প্রত্যাশায়। কেননা তার জীবন অনুস্মরণেই রয়েছে মানব জীবনের সফলতার মূলমন্ত্র।

আবদুল মালেক বিন কুদামাহ বিন মালহান রা: বলেন : ‘রাসূলুল্লাহ সা: আমাদেরকে আইয়ামে বীজ তথা চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন’ (আবু দাউদ)। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন : ‘প্রতি মাসে তিনটি রোজা একযুগ রোজার সমতুল্য, মনোরম সে দিন তিনটি হলো ১৩, ১৪ ও ১৫’ (নাসায়ী)। ইবনু আব্বাস রা: বলেন : ‘রাসূলুল্লাহ সা: সফর ও মুকিম অবস্থায় কখনো আইয়ামে বীজের রোজা ভঙ্গ করতেন না’ (নাসায়ী)। রাসূল সা: বলেন : ‘কোনো মাসে তিনটি রোজা রাখলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রাখবে’ (আহমদ)।

প্রত্যেক চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ এই দিনগুলোকে “আইয়ামে বীজ” বা আলোকিত দিনসমূহ বলা হয়। কারণ এই দিনগুলোতে চাঁদ সবচাইতে বেশি আলোকিত থাকে। প্রিয় রাসূলুল্লাহ (সা.) আইয়ামে বীজের তিনদিন নিয়মিত সিয়াম পালন করতেন।

□ আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “প্রত্যেক মাসে (নফল) সিয়াম পালন করলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে পালন করো”  (তিরমিযীঃ ৭৬১, নাসায়ীঃ ২৪২৪)

□ ক্বাতাদাহ ইবনে মিলহান (রা.) হতে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে  ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সিয়াম পালনের জন্য আদেশ করতেন (আবু দাউদঃ ২৪৪৯, নাসায়ীঃ ২৪৩২)

□ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সা.) বাড়ীতে থাকা অবস্থায় অথবা সফরে থাকা অবস্থায়, কখনোই আইয়ামে বীজের সিয়াম পালন ছাড়তেন না। (নাসায়ী ২৩৪৫)

প্রত্যেক মাসে ৩টা করে সিয়াম পালন করলে সারা বছর নফল সিয়াম পালনের সমান সওয়াব পাওয়া যায়; সুবহানাআল্লাহ! 

আব্দুল্লাহ ইবনে আ’মর ইবনে আ’স (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “প্রতি মাসে তিনটি করে সিয়াম পালন, সারা বছর ধরে সিয়াম পালনের সমান” (বুখারীঃ ১১৫৯, ১৯৭৫)

‘ আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিজের রোজা রাখার তাওফিক দান করুন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ