জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের দায়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঝিনাইদহ সমন্বিত অফিসের উপ-পরিচালক জাহিদ কামাল মঙ্গলবার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
দুদকের ঝিনাইদহ অফিস স্থাপনের পর এটিই প্রথম মামলা। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামী শহিদুল ইসলাম হিরণ এক কোটি ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৩ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম হিরণ ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল এবং ২০০৯ সাল থেকে অদ্যবধি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৯ নং পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি নিজে ও তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৩ টাকার জমি এবং এক কোটি ২০ লাখ টাকা মুল্যমানের বাড়ি নির্মানসহ এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৩ স্থাবর, গাড়ি ব্যবসয়িক পুজি, ইলেকট্রনিকস ও আসবাবপত্রসহ মোট ২২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭০ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তার সম্মানী ভাতা, গৃহ সম্পত্তি, কৃষি ও জমি বিক্রিসহ বিভিন্ন খাত থেকে ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার ১০০ টাকার আয় পাওয়া যায়। পারিবারিকসহ অন্যান্য খাতে শহিদুল ইসলাম হিরনের ব্যায় পাওয়া যায় ১৬ লাখ ৬ হাজার ৪৩০ টাকা। আয় থেকে তার ব্যয় বাদ দিলে তার সঞ্চয় থাকে ২৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ টাকা। যার বিপরীতে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় এক কোটি ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ টাকা।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এ ক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে এক কোটি ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৩ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ ও জ্ঞাত আয়ের উৎস্য বহির্ভুত সম্পত্তি পাওয়া যায়, যা তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে প্রতীয়মান হয়। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অপরাধ করায় এ মামলা দায়ের করছে।
মামলার বিষয়ে শহিদুল ইসলাম হিরণের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।