দামটা বাজেটের বাইরে চলে যায় প্রতিবার। তারপরও এবার একটা ভালো গরু কিনতে চাই!
প্রতিবারের মতো এবারও অনেক পরিবারের কর্তাদের মাথায় এই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। এই বছর গরুর বাজার কেমন হবে? দাম কম থাকবে নাকি বেশি থাকবে? খাসি কিনবেন না গরু কিনবেন? আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো অনলাইনে গরু বা কোরবানির পশু কেনা কি নিরাপদ? আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের মনে উদ্রেক হওয়া এই সকল প্রশ্নের উত্তর অর্থ্যাৎ কুরবানির গরু কেনার গাইড পাবেন কড়া বিশ্লেষণের সাথে। সুতরাং সাথেই থাকুন।
বিগত কয়েক বছরের ট্রেন্ড এনালাইসিস এটা প্রমাণ করে যে, প্রতিবছর কোরবানির পশুর দাম প্রায় ৮% থেকে ১৫% পর্যন্ত বেড়েছে। গতবছর যেখানে একটা মাঝারি আকৃতির গরুর দাম ছিল ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, এই বছর একই গরুর দাম হতে পারে ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। বিভিন্ন কারণ এই মূল্যের জন্য দায়ী। তার মধ্যে অন্যতম হলো:
১. গরুর খাদ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ৮-১০%।
২. পরিবহন খরচের উর্ধ্বগতি।
৩. বিভিন্ন রোগ এবং দুর্যোগের প্রভাব। ইত্যাদি।
আপনি যদি নতুন ক্রেতা হয়ে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন তা হলো:
১. প্রথমেই বাজেট ঠিক করুন। আর এই বাজেট গরু, খাসি, ছাগল সব ধরনের পশুর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
২. গরুর স্বাস্থ্য বিশেষ করে দাঁত, পেট ফোলা ইত্যাদি ভালোমতো চেক করে নিবেন।
৩. দাঁত দেখে বয়স আন্দাজ করতে হবে। সাধারণত ২ টি দাঁত থাকলে বুঝতে হবে গরুর বয়স ২ বছরের বেশি।
৪. মাংসের প্রতি মণের মূল্য, দাম এবং গরুর ওজন মিলিয়ে সামঞ্জস্য রাখুন৷
পশু নির্বাচন কুরবানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নিচে সুস্থ গরু বা কোরবানির পশুর কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো:
কুরবানির হাটে বিকেল বা সন্ধ্যায় না গিয়ে সকাল বেলা হাটে যান। গরু বা পশুর ব্যাপারে এক্সপার্ট কাউকে সাথে রাখুন। ভালোমতো দরদাম করুন। প্রথম দামেই রাজি হবেননা। সবশেষে বলবো, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিন।
অনলাইনে পশু কেনা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক থাকলেও এক্ষেত্রে সময় সাশ্রয় হয়। তবে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবেন। মূলত অনলাইনে পশু কেনার সময় আপনি যে সুবিধাগুলি পাবেন সেগুলি হলো:
অনলাইনে গরু কেনার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতাও মেনে চলা উচিত। যেমন:
১. লাইভে গরু দেখুন,ছবিতে নয়।
২. বিশ্বাসযোগ্য ও ভালো রেপুটেশন আছে এমন প্রতিষ্ঠান থেকে পশু কিনুন।
৩. পশু আসলে ইনজেকশন দেয়া হয়েছে কিনা চেক করুন।
কুরবানির পশুর পরিচর্যা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে ২-৫ দিন যদি কুরবানির পশু ঘরে রাখতে হয় তাহলে নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলতে চেষ্টা করবেন:
কুরবানি হলো মুসলমানদের আত্মসংযম এবং ত্যাগের মহিমা জাগ্রতকরণের মাধ্যমে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার সন্তুষ্টি লাভের উপায়। যথাযথভাবে আল্লাহর নির্দেশ পালনের মাধ্যমে আমাদের কুরবানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এতে করে যেমন ইহকালে আমরা রহমত ও বরকত পাবো, ঠিক একইভাবে আমাদের পরকালও হবে চিরসুখের ও চিরশান্তির। সবার কুরবানি আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন। আমিন।