কোয়াকোয়ারেলি সাইমন্ডস (কিউএস) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং-২০২৪ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেকই ইউরোপের। র্যাঙ্কিংয়ে ইউরোপীয় এবং উত্তর আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান এবারো জোরালো। ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) টানা ১২ তম বছরের জন্য শীর্ষস্থান অর্জন করেছে।
সংস্থাটি ২০ বছর ধরে বার্ষিক মূল্যায়ন করছে। এবার সারা বিশ্বের নানা প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন একাডেমিক কাগজপত্রের বিশ্লেষণ করে ও ২ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি একাডেমিক ফ্যাকুল্টি এবং নিয়োগকর্তাদের বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে র্যাংকিক প্রকাশ করেছে।
এবারে শীর্ষ ১০টি অবস্থানের মধ্যে পাঁচটি ইউরোপের। আর ইংরেজি ভাষার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিক কীর্তি, নিয়োগকর্তার খ্যাতি এবং অনুষদ-ছাত্র অনুপাত বিশ্লেষণে র্যাঙ্কিংয়ের ওপরের স্তরে স্থান পেয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) টানা ১২তম বছরের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। এবারের বিশ্লেষণে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনায়াসেই ১০০ নম্বর পেয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ ৯৯ দশমিক ২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় এবং স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৯৮ দশমিক ৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৯৮ দশমিক ৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৯৮ দশমিক ১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
২০২৪ সালের র্যাংকিংয়ে ইউরোপের শীর্ষ ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় (দ্বিতীয় স্থান), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (তৃতীয় স্থান), লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ (ষষ্ঠ স্থান), ইটিএইচ জুরিখ (সপ্তম স্থান) এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন (নবম স্থান)।
ইউরোপ মহাদেশে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ইউনিভার্সিটি পিএসএল প্যারিস, ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি, ইকোলে পলিতেকনিক ফেদারেলে দে লুজান (ইপিএফএল) এবং জার্মানির মিউনিখের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি।
নয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করে এই মর্যাদাপূর্ণ র্যাঙ্কিং ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়গুলো হলো: একাডেমিক কীর্তি, নিয়োগকর্তার খ্যাতি, অনুষদ-ছাত্র অনুপাত, অনুষদের সাইটেশন, আন্তর্জাতিক অনুষদ অনুপাত ও আন্তর্জাতিক ছাত্র অনুপাত। আর প্রথমবারের মতো এই বছর আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক, কর্মসংস্থানের ফলাফল এবং টেকসই শিক্ষা অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।
কোয়াকুয়ারেলি সাইমন্ডস বলেচে, নতুন সূচকগুলো গত দুই দশকে উচ্চশিক্ষার পরিবর্তনগুলোকে গুরত্ব দেয়। যেমন স্থায়িত্ব, কর্মসংস্থান এবং গবেষণা সহযোগিতার ক্রমবর্ধমান বিষয়গুলো।
সূত্র আজকের পত্রিকা