চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, “বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার বিকল্প নেই। টেকসই ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনা ছাড়া কোনো উন্নয়নই যথার্থ হবে না। বর্তমান বাস্তবতায় সেই উন্নয়ন পরিবেশবান্ধবও হতে হবে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আজ ৩রা নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে চুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর যৌথ উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত দুইদিনব্যাপী প্ল্যানিং স্টুডেন্ট কনভেনশন-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কনভেনশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার, চুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, কনভেনশন আয়োজক কমিটির আহবায়ক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. এম. শফিক-উর-রহমান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় করেন ইউআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান।
কনভেনশনের দিনব্যাপী আয়োজন সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এবং আনন্দ র্যালির মাধ্যমে শুরু হয়। র্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে পুরকৌশল ভবন হয়ে ইউআরপি ভবনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে ইউআরপি ভবনের নিচতলায় দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৈরি বিভিন্ন প্রজেক্ট ও পোস্টার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। কনভেনশনে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।