শিরোনাম:
টাকা না থাকলেও কম খরচে যেভাবে ঘুরে আসবেন কক্সবাজার মহরম কত তারিখে ২০২৫ সালে: মহরম মাসের ইতিহাস | ফজিলত | কারবালার শিক্ষা বাংলাদেশ থেকে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করা যায় কোন কোন দেশে কানাডা জব ভিসা প্রসেসিং কেমন এবং খরচ কত  বাংলাদেশের সেরা ভ্রমণ স্থান: বাংলাদেশের সেরা পর্যটন কেন্দ্র বাংলাদেশে সস্তায় ট্রেন ভ্রমণ করার উপায়: কিভাবে টিকিট কাটবেন এবং কি কি করবেন  মাত্র ৫০-৫৫ হাজার টাকায় ৫ দিনের থাইল্যান্ড ট্যুর প্ল্যান  দেশে ফিরেও কোথাও ঠাঁই মেলেনি প্রবাসী তমিজ উদ্দিনের দেশে রেমিট্যান্স পাঠাবেন যেভাবে: বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রদানকারী দেশসমূহ জার্মানিতে DAAD MIDE Scholarships স্কলারশিপে থাকছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা 

বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রদানকারী দেশসমূহ

দেশে রেমিট্যান্স পাঠাবেন যেভাবে: বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রদানকারী দেশসমূহ

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫

দেশে রেমিট্যান্স পাঠাবেন যেভাবে: বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রদানকারী দেশসমূহ

দেশে রেমিট্যান্স পাঠাবেন যেভাবে: বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রদানকারী দেশসমূহ.jpg

বাংলাদেশের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ পিলার হলেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। আর জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশ গড়তে আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ করা প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, ২০২৫ সালের মে মাসে বাংলাদেশে মোট ২৯৬ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা দেশের ইতিহাসে এক মাসে প্রাপ্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

আর আমাদের আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন কোন দেশ থেকে কত রেমিট্যান্স এসেছে, কোন দেশ শীর্ষে আছে, কিভাবে কোন মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো সর্বোত্তম ইত্যাদি সহ যাবতীয় তথ্য। সো, সাথেই থাকুন।

বাংলাদেশে শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রদানকারী দেশসমূহ

বাংলাদেশী প্রবাসীরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছেন। তারা রাতদিন কষ্ট করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছেন। তবে এই বাহ্যিক রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রতিযোগীতায় কয়েকটি দেশ শীর্ষে রয়েছে।

প্রথমেই থাকবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। সৌদি আরব থেকে প্রায় ৫৩ কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

তাছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩৫ কোটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার, যুক্তরাজ্য থেকে ৩৪ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার, মালয়েশিয়া থেকে ৩৪ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২২ কোটি ৩৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার, ওমান থেক ১৮ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার, ইতালি থেকে ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, কুয়েত থেকে ১৪ কোটি ২ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

তাছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের শ্রেষ্ঠ ধনী কাতার থেকে এসেছে ১৩ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং সিঙ্গাপুর থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১০ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এক্ষেত্রে রেমিট্যান্স পাঠানোতে শীর্ষে থাকবেন সৌদি প্রবাসীরা।

বাংলাদেশে ব্যাংক ভিত্তিক রেমিট্যান্স

ব্যাংকিং চ্যানেলে মে মাসে প্রচুর বৈদেশিক রেমিট্যান্স আসে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকসমূহে আসে ৮১ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার ডলার।

বিশেষায়িত ব্যাংকে আসে ২৭ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকে আসে ১৮৭ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকে রেমিট্যান্স আসে প্রায় ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য কী কী উপায় ব্যবহার করছেন?

বাংলাদেশের প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা বৈধ উপায় অবলম্বন করেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে হুন্ডির মতো অবৈধ পন্থা অবলম্বন করতে অনেককেই দেখা যায়।

ফরমাল ব্যাংকিং চ্যানেল: বৈধ উপায়সমূহ হলো ফরমাল ব্যাংকিং চ্যানেল। এই চ্যানেল ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ ও সরকার স্বীকৃত। এতে করে রেমিট্যান্স বৈধভাবে দেশে আসে এবং সরকারও এতে উৎসাহ দেয়।

ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রান্সফার: তাছাড়াও ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে প্রবাসীরা তার নিজ দেশের একটি ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকে টাকা পাঠিয়ে থাকেন।যেমন এনআরবি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ইত্যাদি।

মানি ট্রান্সফার: মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমেও প্রবাসীরা টাকা পাঠিয়ে থাকেন। মানি ট্রান্সফার কোম্পানির জনপ্রিয় কিছু সেবা হলো:

  • Western Union
  • MoneyGram
  • Ria Money Transfer
  • Xpress Money
  • TransFast ইত্যাদি।

মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস: রেমিট্যান্স পাঠানোর আরেকটি ট্রাস্টেড উপায় হলো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা MFS। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি। রেমিট্যান্স পাঠানোর সাথে সাথে দেশের মোবাইল নম্বরেই টাকা পৌঁছে যায়।

অনলাইন ও অ্যাপ-ভিত্তিক সার্ভিস: প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ফলে এখন অনেক প্রবাসী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ ও ওয়েবসাইট হলো Wise, Remitly WorldRemit, Xoom, ACE Money Transfer ইত্যাদি।

বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর সুবিধা

এই উপায়গুলোতে পাঠানো রেমিটেন্সসমূহ নিরাপদ এবং ট্র্যাকযোগ্য। যার কারণে রিস্কে তেমন একটা পড়তে হয় না। সরকারিভাবে রেমিট্যান্সের ওপর বর্তমানে ২.৫% হারে প্রণোদনাও দেওয়া হয়।

নন-ফরমাল চ্যানেল বা হুন্ডি

এক কথায় হুন্ডি হলো অবৈধ উপায়ে অর্থ পাঠানোর ব্যবস্থা। অনেক সময় দেখা যায় লোকজন হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠায় কারণ এতে কম খরচ হয় বা সময় লাগে কম। কিন্তু এতে আইনগত জটিলতা এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে টাকা হারাতেও পারে। আর এটি দেশের বৈধ রেমিট্যান্স প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে।

ইতি কথা

রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সৌদীপ্রবাসী সহ সকল প্রবাসীরাই বর্তমানে রেমিট্যান্স পাঠাতে ফরমাল চ্যানেল ব্যবহার করছেন। এই ফ্লো ঠিক থাকলে যেমন টাকার সিকিউরিটি নিশ্চিত হবে। ঠিক একইভাবে দেশের প্রতি সঠিকভাবে দায়িত্বও পালন করা হবে। তাছাড়া, সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা ও ডিজিটাল সেবাগুলো এখন রেমিট্যান্স পাঠানোকে অনেক সহজ ও দ্রুত করেছে যা প্রবাসীদের ফরমাল চ্যানেল ব্যবহার করার আগ্রহ শতগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ