বাংলাদেশের অনেকেই জীবিকার তাগিদে বা যেকোনো প্রয়োজনে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমাতে চান। এক্ষেত্রে প্রয়োজন উক্ত দেশ ভ্রমণের এজেন্সি, ডকুমেন্টস এবং ফি সম্পর্কে আইডিয়া রাখা। সিঙ্গাপুর বিশ্বের অন্যতম সবুজ শহর। এমন শান্তির দেশে কে না কাজ করতে চায়! আপনিও যদি এমনটা চান সেক্ষেত্রে চলুন সিঙ্গাপুর ভিসা প্রাইসসহ সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় নিয়ে জেনে নিই।
সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন
বর্তমানে কেনাকাটা এবং অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য সিঙ্গাপুর ভিসা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ভালো ব্যবসায়িক প্রভাব থাকার কারণেও অনেক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ঝুঁকছে এই সিঙ্গাপুরের প্রতি।
পাশাপাশি দেশটির জননিরাপত্তা এবং কম অপরাধের হারের বিষয় তো সাথে রয়েছেই। আপনি যদি ব্যবসা কিংবা অন্য যেকোনো উপায়েও অর্থ উপার্জন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার জিনিসপত্রের নিরাপত্তার কথা নিয়ে এতোটুকুও ভাবতে হবে না।
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনার থাকতে হবে পাসপোর্ট। সিঙ্গাপুরে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে চাইলেও কেবল পাসপোর্টের সাহায্য নিতে পারেন।
তবে এক্ষেত্রে যাদের সাধারণ পাসপোর্ট রয়েছে তাদের আগেভাগেই আবেদন করে নিতে হবে। কেবল পাসপোর্ট নিশ্চিত করলেও চলবে না! এর পাশাপাশি আপনাকে সিঙ্গাপুরের ভিসা পেতে যোগ্যও হতে হবে।
চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক একজন বাংলাদেশী হিসাবে সিঙ্গাপুরের ভিসা পেতে আপনার মাঝে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে সে-সম্পর্কে:
আপনাকে অবশ্যই আপনার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস এজেন্সির কাছে জমা দিতে হবে। কোনো কাগজপত্রে যদি গরমিল থাকে সেক্ষেত্রে ভিসা পাওয়া সম্ভব হবে না।
আর যাদের ভিসা অনুমোদিত হবে তারা কেবল পরবর্তীতে এজেন্সি থেকেই ভিসা কালেক্ট করে নেবেন। কারণ সিঙ্গাপুরের ভিসা এজেন্সি ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যম থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।
অন্যদিকে এজেন্সি থেকে যেটি পাবেন সেটি হলো ডিজিটাল ভিসা বা ই-ভিসা। ফ্লাইটের আগে যারা ভিসার কপি প্রিন্ট করে নেবেন না, তাদের ফ্লাইট এবং ভিসা উভয়ই বাতিল ঘোষণা করা হবে।
সিঙ্গাপুর ভিসা প্রাইস সম্পর্কে জানার আগে চলুন সিঙ্গাপুর ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জেনে নিই। সিঙ্গাপুরের ভিসা পেতে লাগবে:
মনে রাখবেন, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছরের ভেতর কেবল তারাই সিঙ্গাপুর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ এক্ষেত্রে নতুনভাবে ভিসা/আইপিএ করে নিতে হবে।
ভিসা ফি বাবদ লাগবে ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার। যা না থাকলে আপনি আবেদন করতে পারবেন না। এই দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে যেকোনো এজেন্টের আন্ডারে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সেরে নিতে হবে।
যে এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করবেন সেই এজেন্সি যদি ঢাকাস্থ কনস্যুলেটের অনুমোদিত এজেন্সি না হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে আপনার আবেদন বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে।
নিচে ঢাকার বেশকিছু এজেন্সির নাম এবং ফোন নাম্বার শেয়ার করছি। যা আপনি সিঙ্গাপুরের যেকোনো ভিসা নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। এগুলি হলো:
লিমিটেট:
+8802222286634-37, +8801819215983
ঠিকানা: ল্যান্ডমার্ক বিল্ডিং (৪র্থ তলা), ১২-১৪ গুলশান উত্তর, সার্কেল-২, ঢাকা-১২১২
কসমস হলিডে:
+8801740900667, +8801778119922
ঠিকানা: আহসান টাওয়ার (৫ম তলা), ৫৬/১/২ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ডিসকভারি ট্যুর এবং লজিস্টিক:
+8802222275820
ঠিকানা: নাগর লুৎফর বাড়ি, স্যুট:বি/৭, হাউস-১১, রোড#১৭, ব্লক-ডি, বনানী, ঢাকা-১২১৩
হাজী এয়ার ট্রাভেলস লিমিটেড:
+8801712620961, +8801778724950
ঠিকানা: সিটি হার্ট (৮ম তলা), স্যুট: ৯/৪, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০
লেক্সাস ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস: +880255138716-19
হটলাইন: 16552
ঠিকানা: রূপায়ন ট্রেড সেন্টার (৩য় তলা), ১১৪, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, বাংলামোটর, ঢাকা-১০০০
সিঙ্গাপুর ভিসা পেলে এবং দেশটিতে পৌঁছাতে পারলে দেশটিতে কেবল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত ওয়ার্ক পারমিটে উল্লিখিত কাজই করতে পারবেন। সেই সাথে আইন অনুযায়ী যথাসম্ভব সিঙ্গাপুরে কর্মরত বিদেশী কর্মীদের মেনে চলতে হবে।
সিঙ্গাপুরে গিয়ে আপনি অন্য কোনো দেশের নাগরিকের সাথে ব্যবসা করতে পারবেন না। পাশাপাশি নিজের নামেও কোনো ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। সেই সাথে ওয়ার্ক পাস বা ওয়ার্ক পারমিট উল্লেখিত নিয়োগকর্তা ছাড়া অন্য কোনো নিয়োগকর্তার কাজ করতে পারবেন না।
সিঙ্গাপুরে ভিসা নিয়ে গেলে কোনোভাবেই সিঙ্গাপুরের মধ্যে বা বাইরের কোনো স্থায়ী বাসিন্দাকে বিয়ে করা যাবে না। যেকোনো ধরণের জটিলতা এড়াতে মূল ওয়ার্ক পারমিটটিকে সবসময় সাথে রাখুন।
বর্তমানে সিঙ্গাপুর ভিসা প্রাইস ৩০০ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলারের মতো। এক্ষেত্রে এই এমাউন্টটি বাংলাদেসী টাকায় ৩৩,০০০+ এর মতো। এটি হলো সাধারণ ভিসার প্রাইস।
তবে আপনি যদি শ্রমিক হিসাবে দেশটিতে ভিসা নিয়ে কাজ করতে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে গুনতে হবে ৫/৬ লক্ষ টাকার মতো।
যারা দেশটিতে হোটেল ক্লিনার, কনস্ট্রাকশন, মেশিনারিজ, সেবামূলক কাজ ও গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করতে যেতে চান তারা এই এমাউন্টে ভিসা কিনে নিতে পারবেন।