ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে বললেন বিন সালমান

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে ধীরস্থির গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব। মার্কিন টেলিভিশন ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাত্কারে এমনটি জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, প্রতিদিনই এই দুই দেশ পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। তার দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য ক্রমাগতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এসময় তিনি সতর্ক করেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র পায় তবে সেক্ষেত্রে আমাদেরও একটি পেতে হবে।` তবে রিয়াদ যদি তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তবে তা ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে বেইমানি হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। খবর রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ এ কথা বলেছেন। তিনি এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন, উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

সালমানের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যার ঠিক আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাদের প্রধান মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরব এবং অন্যান্য আরব দেশগুলোকে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে জোরালোভাবে চাপ প্রয়োগ করেছেন।

এই আলোচনায় ফিলিস্তিনিদের জন্য ইসরায়েলের তরফ থেকে কী ধরনের ছাড় দেওয়া হবে সেটিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পাশাপাশি সৌদি আরব বেসামরিক উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করলে তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিন ইস্যুতে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ‘রিয়াদের কাছে ফিলিস্তিন ইস্যু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই বিষয়টির সমাধান করা উচিত।’

সৌদি যুবরাজ আরও বলেন, ‘আমরা কোন পথে যাচ্ছি তা বিবেচনায় রাখতে হবে। তবে আমরা আশা করি এটি আমাদের এমন একটি জায়গায় পৌঁছে দেবে যা ফিলিস্তিনিদের জীবনকে সহজ করবে এবং ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তি হিসেবে স্বীকার করে নেবে।’ এ সময় তিনি ইরান প্রসঙ্গে বলেন, ‘ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র পায় তবে সৌদি আরবের হাতেও অস্ত্র থাকা উচিত।’

এদিকে তেল আবিবের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, `এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের শাসকদের সম্পর্ক ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের প্রতিরোধ আন্দোলনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল বলে বিবেচিত হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ