রেমিট্যান্স আসছে কম: অর্থনীতিতে বড় রকমের বিপর্যয়

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
রেমিট্যান্স

রেমিট্যান্স খাতে নেমেছে ধস: জেনে নিন সঠিক কারণ 

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বর্তমানে সবচেয়ে বড় ট্যাগ লাইন বা ব্যাড লাইন যাই বলেন না কেনো তা হলো রেমিট্যান্সের পরিমাণে পতন। কিন্তু কেনো হচ্ছে এমন? তবে কি প্রবাসীদের আয়ের বেশ বড় অংশ হারাতে চলেছি আমরা? 

 

ধারণা করা হচ্ছে অর্থনীতিতে বড় রকমের কোনো বিপর্যয় দেখা দেবে এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ধীরগতি। জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি গ্রহণ করে করোনার ধাক্কা সামলে নেওয়া প্রবাসীদের বর্তমানের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ দেখে অনেকটাই হতাশ সরকার, কতৃপক্ষ এবং দেশের অর্থনীতির সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিগণ৷ 

 

সম্প্রতি আগস্ট মাসে রেমিট্যান্সের যে প্রবাহ এসেছে তা থেকেও বর্তমানে এতো কম রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়টিকে অনেকেই বাঁকা চোখে দেখছেন। 

 

গত আগস্ট মাসেও ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার দেশে এসেছে। যা পরবর্তী মাসে কমে ২১.৪৮ শতাংশে পৌঁছেছে। চলতি বছরে প্রবাসে ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন ব্যাক্তি গেলেও সম্প্রতি রেমিট্যান্সের পরিমাণ নিয়ে অনেকেই বেশ চিন্তিত। 

 

চলুন তবে এবারে বেশকিছু কারণ পর্যালোচনক করে নেওয়া যাক, যেসব কারণকে আমরা এই কমতি রেমিট্যান্সের দিকে দাঁড় করাতে পারি। 

 

কারণ এক

নির্বাচনের আগে এই সময়ে অর্থ পাচার বেড়ে যাওয়ার অর্থনীতির সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিস্থিতি বদলে গেছে বলে অনেকেই মনে করছেন। দেশ থেকে পাচার করা টাকার কারণেও যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের তারতম্য ঘটতে পারে এমনটাই চিন্তা করছেন সংশ্লিষ্টজনেরা। 

 

কারণ দুই

আবার আরেক দল ভাবছেন প্রাবাসীদের পরিবার দেশে টাকা পেলেও তা সরকারের অর্থনীতির খাতায় হিসাব হচ্ছে না। কারণ টাকা পাঠানো হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে। আর ব্যাংকের ব্যবহারের অনুপস্থিতির কারণে রেমিট্যান্সের সঠিক হিসাব টুকে নেওয়া যাচ্ছে না। 

 

কারণ তিন

বেশকিছু চিন্তাবিদগণ ভাবছেন জুন মাসের ইদের কথা। কারণ জুন মাসে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ইদের কারণে। স্বভাবতই ইদ উপলক্ষে প্রবাসী ভাই-বোনেরা পরিবারের তাগিদে কিছুটা বাড়তি টাকা পাঠিয়েছে। তাছাড়া সাধারণত ইদের চাইতে কুরবানির ইদের খরচটা একটু বাড়তিই প্রয়োজন হয়।

 

তাছাড়া এই বিশালরকম রেমিট্যান্স ফারাকের কারণ হিসাবে আমরা বর্তমানে নির্ধারিত বাজারদরের সঙ্গে বাস্তবতার মিলকরণের বিষয়টিকেও দাঁড় করাতে পারি। কারণ আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয় বাড়াতে ডলারের দাম সঠিকভাবে নির্ধারিত হওয়াটা বেশ জরুরি। আশা করছি রেমিট্যান্স খাতে দ্রুত সুদিন ফিরবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ