সোনাগাজীতে ৪ সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩
রোকশানা আক্তার
রোকশানা আক্তার

সোনাগাজীতে ৪ সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাও হয়েছে প্রবাসীর স্ত্রী। অভিযোগ উঠেছে উপজেলার চরছান্দিয়া ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডর রোকশানা আক্তার একই এলাকার ট্রাক চালক শান্তর হাত ধরে নগদ অর্থ ও স্বর্ণলংকার নিয়ে পালিয়ে গেছে।
এঘটনায় রোকশানার শাশুড়ী বিবি ফাতেমা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় অভিযোগ দয়ের করেন।
অভিযোগ সূত্র, এলাকাবাসীর বরাতে জানা গেছে,রোকশানার স্বামী নুরুল হক মিলন সৌদিতে কর্মরত থাকার সুবাধে দেশের বিভিন্ন পারিবারিক কাজের জন্য রোকশানার একাউন্টে জমা রাখে। সর্বশেষ একাউন্টে ৩লাখের বেশী টাকা ছিলো। এছাড়াও কানের দুল, চেইন সহ কয়েক ভরি স্বর্ণ নিয়ে গত ৫জুলাই শান্তর সাথে পালিয়ে যায়। শান্তও বিবাহিত। তার একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
শান্তর মা কহিনুরকে রোকশানার শাশুড়ী বিবি ফাতেমা একাধিকবার তাদের সম্পর্কের (পরকীয়া) বিষয়ে অবগত করলেও তারা তা আমলে না নিয়ে উল্টো বিবি ফাতেমাকে অপমান করে। অন্যদিকে রোকশানার পরিবারকে জানানো হলে রোকশানার ছোট ভাই সোহেল বাড়ীতে এসে তাকে সম্পর্ক না করতে সতর্ক করে যায়।
ঘটনার দিন বাড়ীর সবাই কাজকর্মে বাহিরে ছিলেন। ছেলে-মেয়েরা মাদ্রাসায় পড়তে গিয়েছিলো। এ সুযোগে রোকশানা নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার এবং কাপড়চোপড় সহ নিয়ে চলে যায়। প্রথমে মাদ্রাসা থেকে রোকশানার মেয়ে বাড়ীতে আসার পর তাকে দেখতে না পেয়ে। এবং জিনিসপত্র এলোমেলো দেখে তার নানুর বাড়ীতে গিয়ে খোঁজ করেও না পেয়ে মোবাইল নাম্বার কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়৷ পরে শান্তর পরিবারকে জানালে তারা বলেন তাদের ছেলে কোথায় গিয়েছে তারা জানেন না। শান্তরও মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
পালিয়ে যাওয়া রোকসানার ১৬ বছর বয়সী মেয়ে বলেন, আমি সহ আমার আরো তিন ভাই রয়েছে। আমি কিছুদিন পূর্বে দেখতাম আমার আম্মু মোবাইলে কথা বলছে।এসএমএস করছে। কিন্ত আমাদেরকে দেখতে দিতো না। উনি আমাদেরকে এভাবে রেখে চলে গিয়েছে। তাই উনাকে আমরাও আর চাইনা।
ট্রাক চালক শান্তর মাতা কহিনুর আক্তার বলেন, আমি আগে থেকেই রোকশানাকে আদর করতাম আমার প্রতিবেশী হিসেবে। আমার ছেলে একটি বিয়ে করেছিলো আমাদেরকে না জানিয়ে। আমরা তা মেনে নিয়েছি। তার একটা ছোট্ট মেয়েও আছে। মানুষের মুখে শুনতেছি সে রোকশানাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। যদি এমন করে থাকে তবে তাকে আর আমার বাড়ীতে জায়গা দেবো না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইস্কান্দার রকি বলেন, বিষয়টি আমাকে তাদের পরিবারের থেকে অবগত করে। আমি তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ