পবিত্র হজের পর ওমরাহ মৌসুম শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। এখন শুধু উপসাগরীয় দেশের (জিসিসি) জন্য ওমরাহ চালু হলেও বুধবার (১৯ জুলাই) থেকে সব দেশের জন্য তা উন্মুক্ত। ওমরাহর ই-ভিসা পাওয়ার পর ‘
নুসুক’ অ্যাপের মাধ্যমে ওমরাহ পারমিট নিতে হয়। ওমরাহর ছয়টি প্যাকেজের একটি নির্বাচন করে ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে।
কিংবা নিকটস্থ কোনো এজেন্সির মাধ্যমে এ ভিসার আবেদন করা যাবে। আন্তর্জাতিক পর্যটক হিসেবে অ্যাপে নিবন্ধন করতে ভিসা নম্বর দিতে হবে এবং ওমরাহ পালনের জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ ও সময় বুকিং দিতে হবে। তখন ওমরাহ পারমিটের একটি কিউআর কোড ও সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রচলিত ওমরাহ ভিসা ছাড়াও আরও পাঁচ ধরনের ভিসা নিয়ে সৌদি আরব গিয়ে ওমরাহ পালন করা যায়। যে ভিসায় রয়েছে ওমরাহ পালনের সুযোগ রয়েছে সেগুলো হলো
ট্রানজিট ভিসা : সৌদিয়া এয়ারলাইনস বা ফ্লাইনাসের একটি টিকিট বুকিং দিলে ফ্রি ট্রানজিট ভিসা পাওয়া যায়। এ সময় সৌদি আরবে চার দিন পর্যন্ত অবস্থান ও ওমরাহ পালনের সুযোগ রয়েছে। ট্রানজিট ভিসার মেয়াদ থাকবে তিন মাস। অর্থাৎ কেউ চাইলে ভ্রমণের সর্বোচ্চ তিন মাস বা ৯০ দিন আগে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে।
আর এই টিকিট বুকিংয়ের মাধ্যমে বিনামূল্যে রাত যাপনের সুযোগ রয়েছে। এরপর ভ্রমণকারী সৌদি আরবের ছয়টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে কোথায় অবতরণ করবে এবং কোথায় থাকতে চায়, তার ওপর নির্ভর করে বিকল্প দেখানো হবে। এভাবে সর্বোচ্চ চার দিন পর্যন্ত থাকার অনুমোদন রয়েছে।
প্রবাসীদের ই-ভিসা : উপসাগরীয় ছয়টি দেশের (জিসিসি) প্রবাসীরা সৌদি আরবের ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। যেকোনো পেশার লোক একাধিক বা এককভাবে এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে।
এ ভিসা নিয়ে গেলেও হজের মৌসুম ছাড়া বছরের যেকোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, প্রবাসীরা এই ভিসা নিতে চাইলে যে দেশে অবস্থান করছে সেখানকার বৈধ রেসিডেন্সি ভিসা লাগবে। পাশাপাশি এর মেয়াদ অন্তত তিন মাস থাকতে হবে এবং পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত ছয় মাস থাকতে হবে।
ইনস্ট্যান্ট ই-ভিসা : যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, শেনজেনভুক্ত দেশের ভিসাধারী পর্যটক বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোনো দেশের স্থায়ী বাসিন্দা হলে সৌদি আরবের ইনস্ট্যান্ট ই-ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। তবে ইনস্ট্যান্ট ভিসার জন্য ভিসা ইস্যুকারী সংশ্লিষ্ট দেশে অন্তত একবার প্রবেশ করতে হবে। এই ভিসা নিয়েও হজের মৌসুম ছাড়া সারা বছর ওমরাহ করা যাবে।
অ্যারাইভাল ভিসা : সৌদি আরবের পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ ও শেনজেনভুক্ত দেশের ভিসাধারী এবং তাদের প্রথম পর্যায়ের আত্মীয় বা ফার্স্ট ডিগ্রি রিলেটিভরা অ্যারাইভাল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। এসব দেশের রেসিডেন্সি পারমিট না থাকলে আরও ৪০টি দেশের নাগরিকরাও অ্যারাইভাল ভিসা নিতে পারবে। অ্যারাইভাল ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব গেলেও ওমরাহ পালনের সুযোগ রয়েছে।
ইনভেস্টর ভিসা : সৌদি আরবের বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও ভিজিটিং ইনভেস্টর ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। এই ভিসা নিয়ে কোনো স্পন্সর ছাড়াই সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত সৌদি আরবে অবস্থান করা যাবে।
ওমরা ভিসা থেকে এই ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। এই ভিসা নিয়ে সৌদি আরব প্রবেশ করলেও ওমরাহ পালনের সুযোগ রয়েছে।