কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ একদফা দাবিতে গত মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রায় যোগ দিয়ে নিহত বিএনপির কর্মী সজিবের (১৯) গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আদরের ছোট ছেলেকে হারিয়ে মা-বাবা, ভাই-বোনসহ পরিবারের সবাই পাগল প্রায়।
কয়েকদিন পর সজিবের বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল। তার সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
গতকাল বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের (৮ নম্বর ওয়ার্ড) ধন্যপুর গ্রামের কফিল মেম্বার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নিহত সজিবের মা নাজমা বেগম ও বোন কাজল আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। কিছুইতে থামছে না মা-বোনের কান্নার আহাজারি। কৃষক বাবা আবু তাহের ঘরের দুয়ারে বসে বিলাপ করে কাঁদছেন। এ সময় আশপাশের প্রতিবেশী ও স্বজনদের চোখে ও অশ্রু ঝরতে দেখা গেছে। কারণ সজিব ছিল তার পরিবারের সকলের ছোট।
সজিবের মা-বাবাকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে এসেছেন চন্দ্র গঞ্জ থানা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন, চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাফায়ত হোসেন স্বপন ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতকর্মীরা।
সজিবের বাবা বলেছেন, সজিব পেশায় টাইলস মিস্ত্রি। সেই তার মেঝো ভাই সুজনের সাথে কাজ করত। তারা তিন ভাই। বড়-ভাই মিজান সৌদি আরব প্রবাসী। কয়েকদিন পর সজিব ও সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল। সজিব গ্রামের সবার সাথে মিলেমিশে থাকতেন। গতকাল যখন সজিব বিএনপির মিটিংয়ে যায়, আমাকে বলছে বাবা আমি একটু লক্ষ্মীপুর থেকে আসি। সজিব আর বাড়ি এলো না। সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
চরশাহী বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাফায়ত হোসেন স্বপন জানান, সজিব আমাদের দলের একজন সক্রিয় কর্মী। তার বাড়ি চন্দ্রগঞ্জে হলেও, সেই সবসময় চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের সাথে মিছিল-মিটিং যেত।