‘আমি মুশতাককে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছি’

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩

আলোচিত রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির সেই ছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ১৬ জুলাই (রোববার) ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন সিনথিয়া ইসলাম তিশা।

আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গত ২২ জুন ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা সাইফুল ইসলাম। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছাত্রী ঠাকুরগাঁও আদালতে যান এবং তার স্বামী মুশতাক তাকে অপহরণ বা ধর্ষণ করেনি বলে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে ওই ছাত্রী আদালতের মাধ্যমে নিজ জিম্মায় স্বামী মুশতাক আহমেদের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন।

মুশতাক

গত ১৬ জুলাই ঠাকুরগাঁও আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও তার স্বামী মুশতাক আহমেদ

তিনি আরও বলেন, মেয়ের বাবা তার বয়স ১৬ উল্লেখ করে মামলা করেন। কিন্তু আদালত সিনথিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখেন যে  তার বয়স ১৮ বছর চার মাস। অর্থাৎ তিনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক। তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আছে।

‘ওই ছাত্রী জবানবন্দিতে তাকে অপহরণ ও ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে আদালতকে জানান। এমনকি ঠাকুরগাঁও থানার তদন্ত কর্মকর্তা ওই ছাত্রীর মেডিকেল ও ডিএনএ রিপোর্ট করাতে চাইলে সিনথিয়া তাতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন, আমি কোনো ধর্ষণ বা অপহরণে শিকার হয়নি। তাই এসব রিপোর্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই।’

সিনথিয়া আদালতকে আরও বলেন, ‘আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও সাবালিকা। নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আমার আছে। আমি মুশতাককে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছি। তিনি কোনো জোরজবরদস্তি করেননি। আমার বাবা যে মামলা করেছেন, আমার স্বামীকে হয়রানি করার জন্যই করেছেন।’

আদালত তাকে নিজ জিম্মায় যেতে  আদেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী তিনি নিজ জিম্মায় গিয়ে আদালত কিংবা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তলবে নির্দেশিত স্থানে হাজির/উপস্থিত হতে বাধ্য থাকবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ